ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফের উপদেষ্টা ওলেকসি আরেস্তোভিচ আগামী মে মাস নাগাদ যুদ্ধের অবসান দেখতে পাচ্ছেন, কারণ তার ধারণা, ওই পর্যন্তই প্রতিবেশী রাশিয়ার যুদ্ধ-রসদ টিকবে। সোমবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধের সময়সীমা নির্ভর করছে ক্রেমলিন এ অভিযান চালিয়ে যেতে কী পরিমাণ সম্পদ বরাদ্দ করতে চায়, তার ওপর। ‘আমার ধারণা, মে মাসের আগে এটা থামবে না, মে-র প্রথমার্ধ পর্যন্ত, আমাদের একটা শান্তি চুক্তি হওয়া উচিত, হয়তো আরও আগেই, দেখা যাক, আমি সম্ভাব্য সাম্প্রতিক তারিখের বিষয়ে বলছি। আমরা কয়েকটি পথের মুখে আছি; হয়তো আমরা দ্রুতই একটি শান্তি চুক্তি দেখতে পারি, হয়তো এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে, সেনা প্রত্যাহারসহ সবকিছুই, অথবা আবার একটা সুযোগ আছে যে সবকিছুই একই সময়ে নষ্টও হতে পারে, যেমন সিরিয়ানদের জন্য হয়তো দ্বিতীয় একটি রাউন্ড এবং, তখন আমরা তাদেরও মিটিয়ে দেব, সেক্ষেত্রে একটি চুক্তি মধ্য-এপ্রিল বা এপ্রিলের শেষ নাগাদ হতে পারে।’
অবশ্য রাশিয়া যে আরও ‘পাগলামি’ করে বসতে পারে, সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না ওলেকসি আরেস্তোভিচ। তার ভাষায়, হয়তো মাত্র এক মাসের প্রশিক্ষণ দিয়েই সম্পূর্ণ একদল নতুন সেনা পাঠাতে পারে মস্কো। কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে আলোচনায় এখন পর্যন্ত ফল এসেছে খুব সামান্যই, অবরুদ্ধ ইউক্রেনীয় শহরগুলো থেকে বেসামরিক নাগরিকদের বের করে আনার করিডোর তৈরি ছাড়া বিশেষ কোনো ঐকমত্য হয়নি দুই পক্ষের মধ্যে।
ইউক্রেনের একাধিক গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও বার্তায় ওলেকসি আরেস্তোভিচ বলেন, ক্রেমলিন কতটা সম্পদ এই যুদ্ধে ব্যয় করবে তার ওপরই যুদ্ধের সময়সীমা নির্ভর করছে।
তার ধারণা, শান্তির সমঝোতা হলেও, বছরজুড়েই ছোটখাটো সংঘর্ষ চলতে থাকবে। তবে ইউক্রেন অবশ্যই চাইবে, তাদের ভূখণ্ড থেকে সব রুশ সেনা সরে যাক। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সেনা অভিযান শুরু করে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় যুদ্ধের রূপ নিয়েছে।