সাফল্যের সঙ্গে করোনাভাইরাসসহ নানা সংকট মোকাবিলায় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের জনপ্রিয়তা বাড়ার প্রমাণ পাওয়া গেল নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচনেও। ভূমিধস জয় পেয়েছে তার নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি।
তাতে গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো কোনো দল নিউজিল্যান্ডে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে।
অভাবনীয় এ জয়ে বিশ্ববাসীর প্রশংসায় ভাসছেন জেসিন্ডা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব থেকে শুরু করে তিব্বতের নেতা দালাইলামা অভিনন্দন জানিয়েছেন এ কিউই নেত্রীকে।
তাদের ভাষ্যে উঠে এসেছে, বিশ্ব নেতৃত্বের জন্য অনন্য অনুপ্রেরণা তৈরি করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘অভিনন্দন জেসিন্ডা আরডার্ন, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়ায়।’
অস্ট্রেলিয়ার ২৭তম প্রেসিডেন্ট জুলিয়া গিলার্ড বলেন, ‘উদারতা প্রদর্শনের বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে কঠিন সময়ে আপনি নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আপনার নেতৃত্ব বিশ্বের মানুষকে অনুপ্রেরণা যোগাবে, বিশেষ করে নারীদের।’
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক বিবৃতিতে জেসিন্ডাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এবং আমি কানাডা এবং নিউজিল্যান্ডবাসীর অনেক ইস্যু নিয়ে একসঙ্গে কাজ করেছি। যার মধ্যে রয়েছে করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই এবং বিশ্বজুড়ে নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন।’
তিনি বলেন, ‘জেসিন্ডার দৃঢ় সংকল্প ও ত্যাগী চেতনা এসব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে সহায়তা করেছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস জানান, এমন জয়ের জন্য উপযুক্ত ছিলেন জেসিন্ডা। তিনি বলেন, ‘কভিড-১৯ মোকাবিলায় আপনার অসামান্য নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ। আপনি এবং আপনার সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যাশা করছি।’
জেসিন্ডার জয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতে নির্বাসিত তিব্বতি নেতা দালাইলামাও। তিনি বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে আপনি যে সাহস, প্রজ্ঞা এবং নেতৃত্ব দেখিয়েছেন আমি তার প্রশংসা করি।’
দালাইলামা আরও বলেন, ‘ট্র্যাজেডির মুখে আপনি অন্যদের প্রতি শান্ত, মমতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তা আমি বিশেষভাবে প্রশংসা করি।’