ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ঘোপাল ইউনিয়নে ইউনিটেক্স স্টিল মিলস লিঃ নামের একটি কারখানা স্থাপনের জন্য ব্যক্তিমালিকীয় জায়গায় অবৈধভাবে বালিদিয়ে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে।আজ ১৩ জানুয়ারী দুপুরে ঘোপাল ইউনয়নের দৌলতপুর গ্রামে উক্ত ঘটনাটি ঘটে।জমির মালিক মোঃ শাহজাহান,সাহাব উদ্দীন,রোকেয়া বেগম ও জেবুন্নাহার অভিযোগ করে বলেন মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন উত্তর দৌলতপুর মৌজায় ৬৯/৭০ ডিং নিজ মালিকীয় জমি ঐ কারখানার জন্য অবৈধভাবে দখল করার সময় জমির মালিকরা বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালায়।এসময় ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জামশেদ আলমের নেতৃত্বে বেলাল,জুয়েল(হাতকাটা জুয়েল),আক্তার,বাকি,তানভির,অনিকসহ আজ্ঞাত আরো একশ থেকে দেড়শজন সন্ত্রাসী লোহার রড,পাথর,এলজিসহ দেশীয় অস্র নিয়ে জমির মালিক ইকবাল হোসেন জুয়েল ও জহির উদ্দীন মাসুদের উপর হামলা চালায় বলে তারা জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।তবে জমির মালিকদের পরিবারের অভিযোগ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায় । ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মেজবাহ্ উদ্দীন আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত)মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে কোন ধরনের অপ্রিতীকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।জমির মালিক শাহজাহানের ছেলে এবং অপর মালিক মোঃ রেজাউল করিম জানায় ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারী মালিকদের এক পক্ষ বাহার উদ্দীন মামুন স্থানীয় নিজকুঞ্জরা সমিতি বাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের সাথে জমি বিক্রয় সংক্রান্ত একটি বায়না হয় পরবর্তীতে সেই বায়নার নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ায় তারা জমি ফিরিয়ে না দেয়ায় মালিকপক্ষ বায়না বাতিলের জন্য আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।বর্তমানে মামলাটি আদালতে প্রক্রিয়াধীন আছে।জমির মালিকরা আরো জানায় স্টিল মিলের মালিকপক্ষের কেউ তাদের সাথে কোন কথা না বলে কোন টাকা-পয়সা পরিশোধ না করে আজ বুধবার দুপুরে একদল সন্ত্রাসী পিকআপ দিয়ে বালি এনে তাদের নিজ মালিকীয় জমি ভরাট করতে থাকে।তাদেরকে ভরাট করতে বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় পরবর্তীতে ঘোপাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্তিতি শান্ত করে।ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামশেদ আলমের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলেন আমরা কারো উপর হামলা চালাইনি অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যদি কারো উপর হামলা হত তাহলে কেউ আহত হয়নি কেন?স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এফএম আজিজুল হক মানিক জানায় জায়গাটি তিন জনের ছিল এবং এক জনের জায়গা বিক্রি করা হলেও বন্টন না হওয়ায় চিহ্নিতকরণের অভাবে এই সমস্যাটি হয়েছে তবে অল্প সময়ের মাঝে সমস্যার সমাধান করে পুনরায় কাজ শুরু হবে।উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী জানায় বিরোধপূর্ণ জমির বন্টন সমস্যা আগামী দুই এক সপ্তাহের মাঝে সমাধান করে পুনরায় মাটি ভরাটের কাজ শুরু হবে তবে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত সেখানে মাটি ভরাট করা যাবেনা।উক্ত ঘটনায় জমির মালিকরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলেও জানায়।ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ্ উদ্দীন আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন জমির মালিকরা নিরাপত্তাহীনতাবোধ করলে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।