চ্যাম্পিনস লীগের সেমি ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটিকে আতিথ্য দিয়েছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। বুধবার রাতে পার্সে ডে প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে অধিনায়ক মার্কিনিয়োসের গোলে এগিয়ে গিয়েও দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোলে খেলে বসে স্বাগতিকরা। কেভিন ডি ব্রুইনা সমতায় ফেরানোর পর জয় নিশ্চিত করেন রিয়াদ মাহরেজ। গুরুত্বপূর্ণ ২টি অ্যাওয়ে গোল নিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে রইল পেপ গার্দিওলার দল। ফাইনালের টিকিট পেতে হলে সিটির মাঠে কমপক্ষে ২-০ গোলের ব্যবধানে জয় পেতে হবে মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যদের।
পুরো ম্যাচজুড়ে ৬০ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলবারের উদ্দেশে ১১টি শট নেয় ম্যান সিটি, যার ৬টি লক্ষ্যে ছিল। অপরদিকে ৪০ শতাংশ বল দখলে রেখে ১০টি শটের ৪টি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয় পিএসজি।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতে বেশ ধার দেখা যায় পিএসজির আক্রমণভাগে। মিডফিল্ডের ভুলে দ্বিতীয় মিনিটেই বিপদে পড়তো সিটি। তবে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সে ঢুকে দুর্বল শটে গোল করতে ব্যর্থ হন নেইমার।ত্রয়োদশ মিনিটে আবারও ডি-বক্সে একজনকে কাটিয়ে সিটি গোলরক্ষক এদেরসনকে পরাস্ত করতে পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার। গোছানো আক্রমণের ধারাবাহিকতায় ১৫তম মিনিটে সফল হয় গতবারের রানারআপরা। অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার কর্নারে ডি-বক্সের জটলায় লাফিয়ে কোনাকুনি হেড নেন অধিনায়ক মার্কিনিয়োস। গোলরক্ষক কিছু বোঝার আগেই বল জালে জড়ায়।
পিছিয়ে পড়ে গোল পরিশোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সিটিজেনরা। ২১তম মিনিটে বের্নার্দো সিলভার দুরূহ প্রচেষ্টা পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি পিএসজি গোলরক্ষককে। কিছুক্ষণ বাদে ডি মারিয়ার পাস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হন নেইমার।
৪২তম মিনিটে প্রথম নিশ্চিত সুযোগ পায় সিটি। কিন্তু ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে শট নেন ফিল ফোডেন। সোজাজুজি নেয়া শটে পাঞ্চ করে জাল অক্ষত রাখেন কেইলর নাভাস।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে সমতা আনেন সিটি অধিনায়ক কেভিন ডি ব্রুইনা। ৬৪তম মিনিটে ছোট কর্নারে বল ধরে বাঁ দিক থেকে দারুণ এক ক্রস বাড়ান ডি ব্রুইনা। বল সবার ওপর দিয়ে গিয়ে এক ড্রপে খানিকটা বাঁক নিয়ে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ায়। এরপর রিয়াদ মাহরেজের ফ্রি কিকে পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। এর ছয় মিনিট পর ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। ইলকাই গিনদোয়ানকে পেছন থেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন সেনেগালের মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গেয়ি।
আগামী মঙ্গলবার সেমি ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পিএসজিকে ইতিহাদে আতিথ্য দেবে ম্যান সিটি।