
দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছে ছাগলনাইয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা এখন রাজপথে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত অনুসন্ধানী এই সাংবাদিকের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করার প্রতিবাদে ১৯ মে বুধবার
ছাগলনাইয়া জিরো পয়েন্ট আল্লাহ মুরালের সামনে
সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকায় ছাগলনাইয়া প্রেস ক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ছাগলনাইয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শেখ কামাল সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন
সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মোস্তফা, সাবেক সভাপতি আবুল হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম নিজাম উদ্দিন, বর্তমান ক্লাবের সহ সভাপতি মোঃ শাহ আলম ও মোঃ মাসুম বিল্লাহ ভূঁইয়া,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নিলু, দপ্তর সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ সোহেল, অর্থ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, প্রচার সম্পাদক যতিন্দ্র সুত্রধর, ক্রিড়া সম্পাদক আবদুল হান্নান ভূঁঞা( সোহেল), কার্যকরী সদস্য নিজাম উদ্দিন মজুমদার সজিব, কফিল উদ্দিন ও মাজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া, শাহ জিয়াউল হক রুবেল, কাউসার হামিদ শিকদার পিনু, শেফাল নাথ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, জীবন বাজি রেখে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার রিপোর্টিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করা প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম দেশের সম্পদ। অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিক এই রোজিনা ইসলাম একদিনে তৈরি হয়নি। অথচ সচিবালয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এই নারী সাংবাদিককে প্রায় ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে ১৯২৩ সালের ব্রিটিশ আইনে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে গ্রেপ্তার করে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। সাংবাদিকতার ইতিহাসে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা একটি কলঙ্কজনক ইতিহাসের সূচনা করল। একজন
নারী সাংবাদিকের মর্যাদা এভাবে ভুলুণ্ঠিত হবে আজকের উন্নয়নশীল বাংলাদেশে আমরা তা দেখতে চাইনি। প্রধানমন্ত্রীর উচিত এসব ফ্রাঙ্কেস্টাইনকে রুখে দেওয়া। নচেৎ সব উন্নয়ন ম্রিয়মান হয়ে যাবে। বক্তারা অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তার মুক্তির দাবী জানান, এছাড়াও ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানান।
উল্লেখ্য রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। তাঁকে সেখানে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় এবং তাঁর মুঠোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে পুলিশ ডেকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। ঐ দিন রাত সাড়ে ৮ ঘটিকায় তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।