ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর বল্লভপুর গ্রামে জমি ক্রয় করে প্রতারনার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছেন ওমান প্রবাসী সাইফুল ইসলাম। ২৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর বল্লভপুর গ্রামে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন কথা জানান প্রবাসী সাইফুল ইসলাম। সাংবাদিক সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম আরো জানান, তিনি প্রবাসে থাকাকালীন তার একই বাড়ির বাসিন্দা মরহুম ছুট্রু মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন ২০১৮ সালে ১৯৮৮নং দলিলের মাধ্যমে উত্তর বল্লভপুর মৌজায় ২৬৫ নং বিএস খতিয়ানের সাবেক ৮১০, হাল ১১১০ ও ১১১৪ দাগে ৮ শতাংশ জমি ৫লক্ষ টাকায় তার নিকট বিক্রি করে দখল বুঝিয়ে দেয়। সম্প্রতি সাইফুল ইসলাম দেশে এসে তার ক্রয়কৃত জায়গায় ঘর নির্মাণ করার জন্য নির্মাণ সামগ্রী আনার পর জমির মালিকানা দাবী করে কাজে বাঁধা দেয় আলমগীর হোসেনের ভাই মরহুম জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র নাজিম উদ্দিন ও নাছির উদ্দিন। তারা জানান ২০১৭ সালে তাদের দাদী অর্থাৎ আলমগীর হোসেনের মা রহিমের নেছা হেবা দলিল এর মাধ্যমে তাদেরকে এই জমি দিয়েছেন এবং তারা এই জমি একটি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছেন। ফলে এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় বিভিন্নমুখি উত্তেজনা দেখা দেয়। নিরুপায় হয়ে সাইফুল ইসলাম ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ১৭জুন ২০২১ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক শালিস বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ৩মাসের মধ্যে জমি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন জমির মূল্য বাবদ নেয়া ৫লক্ষ টাকা সাইফুল ইসলামকে ফেরত দিবে। কিন্তু জমির টাকা ফেরত না দিয়ে আলমগীর হোসেন নানা তালবাহানা করছেন। মতামতের জন্য বারবার মোবাইলে ফোন করেও আলমগীর হোসেনকে পাওয়া যায়নি। আলমগীর হোসেনের স্ত্রী শেপালী আক্তার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন জমি বিক্রির টাকা দিয়ে আমরা আমাদের মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। আমরা প্রতারক নই। সাইফুলের টাকা আমরা ফেরত দেব। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল্লাহ সেলিম বলেন, এই ঘটনায় শুভপুর ইউনিয়ন পরিষদেও একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। পরে শুনেছি ইউএনও বিষয়টি সমাধান করেছেন জমির টাকা ফেরত দেয়ার শর্তে। সাংবাদিক সম্মেলনে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।