শিক্ষার্থীদের ওপর ভর্তিযুদ্ধের চাপ কমাতে এবং তদবির বন্ধে দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এখন থেকে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, আগামীতে দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া লটারির আওতায় আসবে।
রবিবার ঢাকার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা অ্যাকাডেমি (নায়েম) মিলনায়তনে বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারির উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি একথা জানান।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে গত বছর মহানগরীতে মাধ্যমিকে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এটা যেহেতু চালু হয়েছে, প্রতিবছরই এটা থাকবে। গত বছর হয়েছিল কেবল মহানগরে। এবার জেলা পর্যায়ে লটারি করা হয়েছে। উপজেলাগুলো লটরির আওতায় আনিনি। আগামীতে সব প্রতিষ্ঠান লটারির আওতায় আসবে।”
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “ভর্তির ক্ষেত্রে আগে আমরা যা দেখতাম, সেটা ভর্তিযুদ্ধ। এই রকম যুদ্ধ থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। যেসব নেতিবাচক চর্চাগুলো রয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে ইতিবাচক চর্চার চেষ্টা করছি।”
স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা শিশুদের উপর প্রচণ্ড মানসিক চাপ তৈরি করে উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, “এর ফলে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। এর মধ্যে একটি অনৈতিক বিষয়ও জড়িয়ে যায়। অনেক রকম তদবিরের চাপ থাকে।”
তিনি বলেন, “এই নেতিবাচক চর্চা দূর করার জন্য আগে থেকেই ভাবছিলাম। কী করে এ থেকে উত্তরণ করব। ঠিক সেই সময় করোনা এসে গেল। করোনাভাইরাস না এলেও আমরা লটারির কথা ভেবেছিলাম।”
ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ফলে কোচিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করে দীপু মনি বলেন, “স্কুলে ভর্তিযুদ্ধ তো হয়ই, আমাদের উপরও যুদ্ধ চলে আসে। সব কিছু পড়ে বেশি নম্বর পেয়ে যদি স্কুলে ভর্তি হতে হয়, তাহলে স্কুলের কৃতিত্বটা কী? কম নম্বর পাওয়া একজন শিক্ষার্থীকে পড়িয়ে যদি সে বেশি নম্বর পায়, সেটাই তো শিক্ষকের কৃতিত্ব।”
শ্রেণিকক্ষের আকৃতির পরিবর্তন, মিড ডে মিল ও মেয়েদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ানোর পরিকল্পনাও সরকার হাতে নিয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।