ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান- ১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের এক মাস পেরিয়ে গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩২ জন যাত্রী। এদের মধ্যে ১৩ জন শিশু, ১১ জন নারী ও ৮ জন পুরুষ রয়েছেন। বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে ২৪ জনকে। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনো সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর তীরে অপেক্ষা স্বজনদের।
এদিকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন ও নৌ-মন্ত্রণালয় তাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানানো হয়। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তথ্যমতে, নিখোঁজ ৩২ জনের ৫১ জন স্বজন ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন। এর মধ্যে চারজন নমুনা দিয়েছেন ঝালকাঠিতে ও বাকি সাতচল্লিশজন ডিএনএ নমুনা দিয়েছেন বরগুনাতে। কিন্তু এক মাসেও শেষ হয়নি ডিএনএ পরীক্ষা। বরগুনার গণকবরে দাফন করা হয়েছে ২৩ জনের মরদেহ। সুগন্ধা নদী থেকে উদ্ধার একজন সনাতন ধর্মের পুরুষের মরদেহ তার রীতি অনুযায়ী ঝালকাঠি পৌর শ্মশান ঘাটে সমাহিত করা হয়েছে। ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লঞ্চের মালিকসহ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া লঞ্চে পুড়ে যাওয়া মালামালের কিছু আলামত সংগ্রহ করে থানায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ১২ জানুয়ারি জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আমার কাছে জমা দেওয়ার পর নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। লঞ্চের ইঞ্জিন কক্ষ থেকেই আগুন লেগেছে বলে তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান ১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছেন শতাধিক যাত্রী।