ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১ টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৯৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন পূর্ব ছাগলনাইয়া সীমান্ত থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায়।
ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ধরে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের সাইমুম হোসেন (১৯), মাঈন উদ্দিন (২০),
মো. লিটন (৩০), রাইসুল ইসলাম (১৯), মো. সামিন (৪০), মো. হারুন (২৩), ছাগলনাইয়ার মটুয়া এলাকার মো. খোরশেদ (৩৮), মো. হারুন (৩২) ও ইমাম হোসেন,আজাদ হোসেন (২৫), মো. মাহিম (২৫), রাধানগর এলাকার . রুবেল (২৮), জাফর ইমাম মজুমদার (৪০), মো. ওবায়দুল হক (৪৪), জামাল উদ্দিন (৪০), আরিফ হোসেন (২৪), মো. করিম (২০), মো.মহসিন (২৫), কাজী রিপন (৪০), তাজুল ইসলাম (২২), মো. হানিফ (৩৫), আবুল হাসান (৩০), মো. ইমরান (২২)।
এ ঘটনা জানাজানির জানাজানি হওয়ার পরে আজ মঙ্গলবার বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। বিজিবি জানিয়েছে, বৈঠকে চোরাকারবারির অভিযোগে ২৩ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএসএফ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার রাতে পূর্ব ছাগলনাইয়া এলাকায় এক বাংলাদেশিকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে বলে গুঞ্জন শুনে স্থানীয়রা খবর নিতে সেখানে যায়। এ সময় বিএসএফ পুনরায় বাংলাদেশিদের ধাওয়া শুরু করে। অনেকে পালিয়ে গেলেও একপর্যায়ে তারা সেখান থেকে ২৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায়।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। কেউ থানায় মৌখিক বা লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি।
ফেনী ৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, মঙ্গলবার দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে চোরাকারবারির অভিযোগে ২৩ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএসএফ। বৈঠকে আটকদের একটি তালিকা বিজিবিকে সরবরাহ করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র আমাদের হাতে এসেছে। এ বিষয়ে আমরাও আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করবো।