চাকরির টোপ দিয়ে ভারতে নিয়ে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করানো বড়সড় একটি চক্রের খোঁজ পেয়েছে দেশটির পুলিশ। তাদের ধরতে অভিযান চালাতে নেমে শনিবার ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনই বাংলাদেশি। পশ্চিমবঙ্গের উঠতি এক মডেল সম্প্রতি চক্রটির বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে এই অভিযান চালানো হয়।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, চক্রটি অল্প বয়সী মেয়েদের ইন্দোরের বিজয় নগর এলাকার একটি হোটেলে আটকে রেখেছিল।
বিজয় নগর পুলিশ জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ওই মডেল সম্প্রতি মুম্বাইয়ের আরেক মডেলের সঙ্গে একটি ইভেন্টে অংশ নেন। ইভেন্টের নারী ম্যানেজারের প্রস্তাবে কাজ করতে গিয়ে তারা ফাঁদে পড়েন। দুজনকে মারধর করে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। পরে তারা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে থানায় আশ্রয় নেন।
উদ্ধার হওয়া ১৩ জনের বয়স ১৬ থেকে ৩০।
ইন্দোর পুলিশের ডিআইজি হরিণারায়ণচরী মিশ্র স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মানব পাচার এবং যৌন ব্যবসায় বাধ্য করানোর অভিযোগে তিন নারীসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার সবাই ইন্দোরের বাসিন্দা। বাংলাদেশি মেয়েদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে ভারতে এনে জোর করে এই কাজ করানো হচ্ছিল।’
পুলিশ সদস্যদের কাজে খুশি হয়ে ডিআইজি সবাইকে ২০ হাজার রুপি করে পুরস্কার দেয়ার কথা জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া সাত পুরুষের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে: নবীন সিসোদিয়া, কুলদীপ চন্দ্রস্বামী, রাজেন্দ্র দাওয়ার।
এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর একইভাবে দেশটির গুজরাট রাজ্যের সুরত এলাকার একটি স্পা সেন্টার থেকে ১৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। খুলনা থেকে পাচার হওয়া মেয়েটি মোট চারবার বিক্রি হয়!