রাষ্ট্রপতি তার একটি বাণীতে বলেছেন, “বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা বিধানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ‘শৃঙ্খলা নিরাপত্তা প্রগতি’ মন্ত্রে দীক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। “জঙ্গিবাদ দমন ও মাদক নির্মূলে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে।” “দেশের সকল প্রয়োজন ও সঙ্কটকালে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সাফল্য ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।
পুলিশ জনগনের বন্ধু আর অপরাধীদের আতংক। সাধারণ মানুষের জনজীবনে শান্তির স্বস্তি প্রদানে ও আইনি সহায়তায় দেয়াই এখন প্রতি মুহুর্তে কাজ করে যাচ্ছেন ছাগলনাইয়া থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ। ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার একজন ব্যতিক্রম পুলিশ অফিসার (ওসি) মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ। ছাগলনাইয়া থানায় যোগদানের পূর্বে তিনি বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন থানায় সততা ও নিষ্ঠার সহিত দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ছাগলনাইয়া থানায় যোগদানের পর তাঁর কাছে একবার যে গিয়েছে সে তাঁর প্রশংসা না করে পারে নাই। বর্তমানে ছাগলনাইয়া উপজেলার সকলের মুখে নিষ্ঠাবান ও সৎ পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি। সীমান্তঘেষা ছাগলনাইয়া উপজেলা হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই মাদকের ছোট বড় চালান আটক ও ইভটিজিং,জুয়াড়ী কারীদের গ্রেফতার, পারিবারিক বিরোধের শান্তিপূর্ন সমাধান, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি, অসচ্ছল ও অসহায় ব্যাক্তিদের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন এই মানবিক গুণাবলী’র অধিকারি ওসি মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ। শুধু তাই নয় তিনি একাধারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, স্থানীয় প্রতিনিধি সহ সকল পেশা শ্রেণীর জনগনের সমন্বয়ে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ ও যৌতুক বিরোধী মতবিনিময় সভা করে ছাগলনাইয়া উপজেলার সাধারণ মানুষকে পুলিশি সেবা নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। ছোট বড় যে কোন সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন এ পুলিশ কর্মকর্তার অফিসে। যে কোনও ভুক্তভোগী তাঁর সংস্পর্শে আসলে তার সমস্যার বিষয়াদি গুলো মনোযোগ দিয়ে শোনার পর সঠিক পরামর্শ প্রদান করা ওসি মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ’র গুনাবলীর প্রধান বিষয়। শুধু তাই নয় তাঁর অধিনস্তদের প্রতিও তিনি অত্যন্ত খোলামেলা এবং সদয়। যে কারণে সবার আস্থাও বেড়েছে তাঁর প্রতি। ছাগলনাইয়া উপজেলার সচেতন মহল প্রশংসা করে বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ’র মত সৎ নিষ্ঠাবান অফিসার প্রতিটা থানায় থাকা জরুরি, এতে করে দেশে অপরাধ কমে আসবে। তাঁর মতো অফিসারের মূল্যায়ন আছে এবং সব সময়ই থাকবে এটাই চিরন্তন সত্য। অপরাধিদের আতংক এ পুলিশ কর্মকর্তার কঠিনহস্তে ছাগলনাইয়া উপজেলায় গুরুতর অপরাধ এখন নেই বললেই চলে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবং মানুষকে সচেতন করতে রাত দিন নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন তিনি। করোনা ভাইরাস বৃদ্ধির শুরু থেকেই তিনি নানা সচেতনতা মূলক কর্মকান্ড করে যাচ্ছেন। পুলিশের একটি টিমকে সঙ্গে নিয়ে সাধারন মানুষকে সচেতন করতে উপজেলার পৌর শহর সহ ৫ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতে দেখা যায় তাকে। করোনাকালিন সময় ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রায় ১৫০০ পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। তবে সচেতনতার মাধ্যমে আমরা এটাকে প্রতিরোধ করতে পারি। আপনাদের স্বার্থেই আপনারা নিজ নিজ বাড়িতে থাকুন। এদেশ আপনার আমার, আমাদের সবার। তিনি বলেন, চলুন আমরা সবাই দেশের স্বার্থে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনাগুলো মেনে চলি। আর এসব কর্মকান্ডে’র জন্য ছাগলনাইয়া উপজেলা সর্বস্তরের জনগন এর ভালবাসায় প্রশংসিত হন ওসি মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ। জানতে চাইলে ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ দৈনিক প্রথম সময় এর প্রতিবেদককে জানান, যতদিন বেঁচে থাকবো এ ভাবেই মানুষের কল্যানে সেবা দিয়ে যাব। পুলিশ জনগনের বন্ধু আর অপরাধিদের আতংক এই তত্বকে লালন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। সাধারণ মানুষের মাঝে শান্তি স্বস্তি ও আইনি সহায়তা দেয়াই এখন আমার প্রতি মুহুর্তের কাজ করে জাবো। তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষের পাশে সবসময়য় ছিলাম, আছি ও থাকবো। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবনা।