মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শনকে ঘিরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাখোঁর বক্তব্যকে মেনে নিতে মুসলিমদের প্রতি আহ্বান করেছেন আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনওয়ার গারগাশ।
তার মতে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য ছিল পশ্চিমা সমাজে সুসংহতি আনার প্রয়োজনীয়তা থেকে।
আলজাজিরা জানায়, জার্মান পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এমন মনোভাব প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘ম্যাখোঁ কী বলেছেন সেটি মুসলিমদের সতর্কভাবে শুনতে হবে। পশ্চিমা সমাজ থেকে মুসলিমদের তিনি আলাদা করতে চান না এবং তিনি একেবারেই সঠিক।’
পশ্চিমা দেশগুলোতে আরও ভালো উপায়ে মুসলিমদের সুসংহত করা দরকার আছে বলে আমিরাতি মন্ত্রী দাবি করেন।
আনওয়ার গারগাশ বলেন, ‘চরমপন্থা ও গোষ্ঠীবদ্ধতার বিরুদ্ধে সমান্তরালভাবে লড়াইয়ের পন্থা খুঁজে বের করার অধিকার ফ্রান্স সরকারের আছে।’
ফ্রান্সে বসবাসরত মুসলিমদের দেশটি থেকে বের করে দিতে চাইছেন ম্যাখোঁ, ফরাসি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও নাকচ করে দিয়েছেন তিনি।
ক্লাসরুমে মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শন করায় এক শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনার জেরে মুসলিমদের তিনি ‘বিচ্ছিন্নতাবাদের’ জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ইসলাম সংকটে আছে।’
এমনকি ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন বন্ধ হবে না বলেও মন্তব্য করেছিলেন ম্যাখোঁ। এরপর ফ্রান্সে বড় বড় ব্যানারে মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ঝোলানো হয়। এতে গোটা বিশ্বের মুসলিমরা ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের ডাক দেয়।
এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের টানাপোড়েন শুরু হয়। একপর্যায়ে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন ছাপানোয় মুসলিমদের কষ্টের অনুভূতি বুঝতে পারছেন বলে ইম্যানুয়েল ম্যাখোঁ মন্তব্য করেছেন।
আল-জাজিরাকে দেওয়া বিশেষ একটি সাক্ষাৎকারে ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানান, ‘উগ্রবাদী ইসলাম’ এর বিরুদ্ধে তিনি লড়াইয়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন সেটা সকল মানুষের জন্য ক্ষতিকর, বিশেষ করে মুসলমানদের জন্য।
ম্যাঁখো বলেন, ‘তাদের যে অনুভূতি প্রকাশ পাচ্ছে তা আমি বুঝতে পারছি। এতে তাদের প্রতি আমি সম্মান জানাই। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই আমার এই মুহূর্তের ভূমিকা বুঝতে হবে। এখানে দুটি করার সময় আছে: শান্তির বিষয়টা তুলে ধরা এবং এই অধিকারগুলোও রক্ষা করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘কথা বলার, লেখার, চিন্তার এবং আঁকার মতো মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আমি সব সময় আমার দেশকে সমর্থন দেব।’