বগুড়ার শেরপুরে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা এবং সাংবাদিকদের উপর হামলা ও ক্যামেরা ভাংচুরের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ঐ সাংবাদিকগণ। গত সোমবার (২৩ নভেম্বর ) সন্ধ্য ৮ টার দিকে তাঁরা শেরপুর থানায় উপস্থিত হয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন। জানা যায়, ঐদিন বিকালে শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বেলঘড়িয়া বাজারে আলুর বীজ এর ডিলাররা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অধিক মূল্যে আলুর বীজ বিক্রির সংবাদ আসে সাংবাদিকদের কাছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড কৃষকদের কল্যাহ সেখানে ছুটে যান এশিয়ান টিভি ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো প্রত্রিকার শেরপুর উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ মোত্তালিব সরকার ও দৈনিক বর্তমান কথা প্রত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোঃ মশিউর রহমান মিলন। সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিনে তাঁরা ডিলার আকরাম হোসেনের সাথে কথা বলছিলেন। এমন সময় তাদের উপর অর্তকিতভাবে হামলা করে আলুর বীজ সিন্ডিকেটকারী মোহাম্মদ আলী, রঞ্জু, রফিকুল ইসলামসহ তাদের বাহীনিরা। অতর্কিত এই হামলার শিকার এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি মোঃ মোত্তালিব সরকার, ক্যামেরা পারসন মিলন ইসলাম, দৈনিক বর্তমান কথা প্রত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি মোঃ মশিউর রহমান মিলন ও ফটো সাংবাদিক মেহেদী হাসান। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার বেলঘড়িয়া বাজারে আলুর বীজ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের বেলঘড়িয়া বাজারে সাব-ডিলার মোঃ আকরাম হোসেনের সাথে কথা বলার একপর্যায়ে আলুর বীজ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ক্ষীপ্ত হয়ে তাদের উপর হামলা করে। হামলাকারীরা স্থানীয় উত্তর জামুর গ্রামের আলহাজ্ব মজিবর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৩৫)। জামুর গ্রামের মোজাহার ওরফে মোজার ছেলে রঞ্জু (৩৮), নামা জামুর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলামসহ আরও ৪/৫ জন। তারা দৈনিক বর্তমার কথা প্রত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মশিউর রহমান মিলনকে স্বজড়ে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়, এতে তার হাতে থাকা ডিএসএলআর ৭০০ডি ক্যামেরা ভেঙ্গে যায়। শুধু তাই নয়, তথ্য সংগ্রহে থাকা ঐ সাংবাদিকদের বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এবিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, এমন ঘটনায় একটি অভিযোগ হয়েছে, এস আই সাচ্ছু বিশ্বাসকে তদন্ত ভার দেওয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।