নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে ছাগলনাইয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে । এ সময় হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান বক্তারা। মঙ্গলবার (২৩ফেব্রুয়ারী) সকালে ছাগলনাইয়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক আলহাজ্ব মোঃ মোস্তফার সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় জিরো পয়েন্টের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ছাগলনাইয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান,সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম নিজাম উদ্দিন, সদস্য সচিব মোঃ রফিক উদ্দিন, সাবেক সহ-সভাপতি শাহ আলম, আহবায়ক কমিটির সদস্য কপিল উদ্দিন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নিজাম উদ্দিন মজুমদার সজিব,সাবেক দপ্তর সম্পাদক কাজী নুরুল আলম নিলু,সাবেক প্রচার সম্পাদক যতীন্দ্র সূত্রধর,
সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক এম,দেলোয়ার হোসেন,সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ সোহেল,সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক আবদুল হান্নান সোহেল।উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার বিশেষ প্রতিনিধি ও দৈনিক প্রথম সময়ের সম্পাদক ও প্রকাশক কাউসার হামিদ শিকদার পিনু, সাংবাদিক সেপাল নাথ, মিলন খোন্দকার, সাখাওয়াত হোসেনপ্রমূখ।
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক মুজাক্কিরের খুনিদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনকে আলটিমেটাম দেন বক্তারা। এতে প্রশাসন ব্যর্থ হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেন বক্তারা।
প্রসঙ্গত; গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকালে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। শনিবার রাত ১০টা ৪৫মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত মুজাক্কির দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও অনলাইন পোর্টাল বার্তা বাজারের প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে। নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে সম্প্রতি রাষ্ট্র বিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করে সাংবাদিকতায় যুক্ত হয়েছিলেন।<