আইপিটিভির নামে স্যাটেলাইট চ্যানেল হিসেবে সম্প্রচার হয়ে আসছিল জয়যাত্রা টেলিভিশন। ২০১৮ সাল থেকে হংকংয়ের একটি ডাউনলিংক চ্যানেল হিসেবে সম্প্রচার হয়ে আসছিল এটি। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দুপুরে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
ফ্রিকুয়েন্সির জন্য হংকংকে প্রতি মাসে প্রায় ছয় লাখ টাকা পরিশোধ করতো জয়যাত্রা টেলিভিশন। যদিও হংকং থেকে বরাদ্দ ফ্রিকুয়েন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশে সম্প্রচারের কোনো বৈধ অনুমোদন নেই।

জয়যাত্রা টেলিভিশনের স্বত্বাধিকারী ও আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরের দুই সহযোগী হাজেরা খাতুন (৪০) ও সানাউল্ল্যা নূরীকে (৪৭) আজ ভোরে রাজধানীর গাবতলী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তির মানহানির অভিযোগ উঠেছে। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘জয়যাত্রা টেলিভিশন আইপিটিভির নামে স্যাটেলাইট টিভি পরিচালনা করে আসছিল। স্যাটেলাইট টিভি সম্প্রচারের সমস্ত কিছু সেখানে ছিল। হেলেনা জাহাঙ্গীর জয়যাত্রা টেলিভিশনে বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিয়ে আসতেন। সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে হাজির করার চেষ্টা করতেন। আমরা দেখেছি বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ছবি ব্যবহার করতেন, যেগুলো নিজের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য, বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণার জন্য। আপনারা যেটা বলেছেন, সেটা এই ধরনের প্রতারণার অংশ কিনা তা গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থা খতিয়ে দেখছে।’
খন্দকার আল মঈন আরও জানান, সম্প্রচারের জন্য ক্যাবল ব্যবসায়ীদের নিকট রিসিভার জয়যাত্রা টিভি বা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। প্রতিনিধিরা ক্যাবল ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সম্প্রচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে চাকরিচ্যুত করা হতো। এই টিভি বাংলাদেশের প্রায় ৫০টি জেলায় সম্প্রচারিত হতো।
বিজ্ঞাপন
