ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় এক মুক্তিযোদ্ধার কাছে ঘুষ চাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুল হুদার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উপজেলার বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা।তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই, শহীদ উল্যাহ সুবেদার, ইলিয়াছ সুবেদার, নুরুল আমিন, মনির আহাম্মদ মজুমদার, রহিম উল্যাহ্, আবু আহাম্মদ মজুমদার, ইমাম হোসেন মজুমদার, আবদুর রহমান ও কামাল উদ্দীন হাজারী। লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও মুক্তিযোদ্ধা মনির আহাম্মদ গণমাধ্যমকে জানায় ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুল হুদা অত্র উপজেলার সাধারন মানুষকে ও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করে আসছে।ইতিপূর্বে সে ছাগলনাইয়া থেকে কয়েকবার বদলী হয়েও আবার একই উপজেলায় আসে। সে আইনকে উপেক্ষা করে একই উপজেলায় দীর্ঘ ১৭ বছর দায়িত্ব পালন করে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। তার কাছে এলাকার লোকজন জিম্মি হয়ে আছে। প্রশাসনিক কোন কাজ নিয়ে তার কাছে গেলে সে ঘুষ ছাড়া কোন কাজই করতে চায়না। ইতিপূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহাম্মদ মজুমদার মসজিদের জন্য ওয়াকফকৃত ভূমি ভূমিদস্যুদের কবল হতে রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দরখাস্ত দিলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুল হুদা তার নিকট এক লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করে।
বিজ্ঞাপন

এছাড়াও সে যেকোন কাজের জন্য গেলে মুক্তিযোদ্ধাদের চরম হয়রানি করে এবং ঘুষ না দিলে অসদাচরন করে। তার বিরুদ্ধে সর্বস্তরের লোকজনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের লিখিত অভিযোগটি প্রত্যাহারের জন্য গত ২২ সেপ্টেম্বর ২১খ্রি. নুরুল হুদা নিজে একটি প্রত্যাহার পত্র লিখে সেখানে স্বাক্ষর করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহাম্মদ মজুমদারের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র পাঠায়। উক্ত বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা নুরুল হুদার বক্তব্য নেয়ার জন্য মুঠোফোনে ফোন করা হলে রিসিভ করেননি।ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্যের জন্য মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক(ডিসি) আবু সেলিম মাহমুদ- উল হাসান বলেন বিষয়টি দেখা হবে। আইনকে উপেক্ষা করে একই জায়গায় দীর্ঘ ১৭ বছর দায়িত্ত্ব পালন করায় এবং উপজেলার নাগরিকের কাছে ঘুষ চাওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায় ভুক্তভুগি মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারন মানুষ।
বিজ্ঞাপন