ফেনীতে পার্লার থেকে বিয়ের কনেকে সাজিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মাইক্রোবাসের চাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কনেসহ আরও তিনজন। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতণ মহাসড়কের ফেনীর মঠবাড়ীয়া রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-কনের বড় বোনের জামাই জামাল হোসেন (৩৮) ও ভাতিজি হাছনা আক্তার পলি। নিহতরা কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেরার আলকরা ইউনিয়নের বাসিন্দা।
কনে ফারজানা আক্তার কলিসহ আহতদের ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কনে কলির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের পূব ডেকরা গ্রামের ফারজানা আক্তার কলির সঙ্গে একই উপজেলার জগন্নাথ ইউনিয়নের বিজয়করা গ্রামের মোহাম্মদ শাকিলের শুক্রবার বিয়ের ধার্য তারিখ ছিল। দুপুরে কনে ফারজানাকে ফেনী শহরের একটি পার্লারে সাজাতে নিয়ে যাওয়া হয়। সাজগোজ শেষে তারা সিএনজি চালিত অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন। তাদের অটোরিকশাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরাতণ মহাসড়কের ফেনীর মঠবাড়ীয়া রাস্তার মোড়ে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস তাদের অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই জামাই জামাল হোসেন ও হাছনা আক্তার পলি মারা যায়। আহত হয় কনে ফারজানা আক্তার কলিসহ তিনজন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক কনে ফারজানা কলির অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অপর আহতরা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। দূর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশাটি ও মাইক্রোবাসটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এঘটনায় মামরার প্রস্তুতি চলছে।