অধিকাংশ গাড়ি গ্যাসে চললেও ডিজেলের মুল্যবৃদ্ধির অজুহাতে শেরপুর-বগুড়া রুটে চলাচলকারী করতোয়া গেটলকের ভাড়া ২৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ টাকা করা হয়েছে। এ নিয়ে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। সরজমিনে দেখা যায়, সোমবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকেই শেরপুরে মাইকিং করে যাত্রীদের কাছ থেকে ২৫ টাকার ভাড়া ৩৫ টাকা নেয়া হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে দাবী পরিবহন শ্রমিকদের। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, সরকার ডিজেল চালিত গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু করতোয়া গেটলকের অধিকাংশ গাড়িই সিএনজি চালিত। বগুড়াগামী যাত্রী মামুন শেখ বলেন, আমরা পরিবহন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। গ্যাস দিয়ে চালিত গাড়িতে ডিজেলের ভাড়া আদায় করছে। প্রতিবাদ করলে নেমে যেতে বলে। এ নিয়ে প্রশাসনের উদাসীনতাকেও দায়ি করছেন কেউ কেউ। বেসরকারি চাকুরিজীবী সুমায়েল আহমেদ বলেন, এমনিতেই বিআরটিএ’র আইন অমান্য করে গাড়ি গুলোতে ৩১ সীটের জায়গায় ৪০ সীট করা হয়েছে। ফলে আগে থেকেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া জেলা মোটর মালিক গ্রুপের শেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা জানান, করতোয়া গেটলকের ৬৫টির মধ্যে ২৭টি গাড়ি ডিজেলে চলে। বাকিগুলো গ্যাসে চলে। আমাদের ভাড়া আগে থেকেই ৩২ টাকা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ২৫ টাকা রাখা হতো। এবার বিআরটিএ’র সাথে আলোচনা করে জেলা থেকে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ময়নুল ইসলাম বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকাকে জানান, সরকারি নিদের্শনার বাইরে গ্যাসচালিত যানবাহনে ভাড়া বৃদ্ধির সুযোগ নেই। মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। আজকের মধ্যে ভাড়া কমানো না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।