বগুড়া জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের অবৈধ আহ্বায়ক কমিটি বাতিল এবং নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা চেয়ে আদালতে মামলা হয়েছে।গত সোমবার (১৬ নভেম্বর) বগুড়া ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব উদ্দিন (লাল) মামলা নং-২১৩/২০২১। অদ্য ১৭ নভেম্বর বুধবার শুনানি শেষে বগুড়া ১ম যুগ্ম জেলা জজ মোঃ শাহাদাত হোসেন বিবাদীগনের বিরুদ্ধে ১০ দিনের শো’কজ আদেশ প্রদান করেন এবং আগামী ১০ দিনের মধ্যে শো’কজের জবাব দিতে হবে বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক বিধি সম্মত ভাবে বগুড়া জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গত (১লা মে-২০১০) কেন্দ্রীয় কমিটি বিধি সম্মত ভাবে অনুমােদিত ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি দেয়। বাদী প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সুদীর্ঘ ১০ বছর যাবত সুনামের সহিত দলীয় কর্মকান্ডের দায়িত্ব পালন করছেন। কখনও তার বিরুদ্ধে ব্যক্তি বা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গেরও কোনরুপ অনিয়মের অভিযোগ উঠেনি।
কিন্তু ৩নং বিবাদী পূর্ব হতে অনিয়ম,দূর্নীতি এবং সংগঠন বিরােধী কর্মকান্ডে
জড়িত মর্মে একাধিক পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। অনিয়ম-দূর্নীতির অংশ হিসাবে বগুড়া জেলাতেও বিধি বহির্ভূত জাল-জালিয়াতি মূলে বিতর্কিত ও সংগঠন বহির্ভূত অবৈধ আহ্বায়ক কমিটি সৃষ্টি করে মােটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কোনরুপ পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই একটি কুচক্রী মহল ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টায় বিবাদীগন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে গত ০৮ অক্টোবর-২০ইং তারিখে গঠনতন্ত্র বিধি বহির্ভূত ভাবে কতিপয় জামাত-শিবির ও বিএনপি পন্থী লোক জনের সমন্বয়ে একটি অবৈধ আহ্বায়ক কমিটি সৃষ্টি করে। যাহা সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী।
এছাড়াও বাদী বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতাদের বার বার বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তারা প্রতিকার বা সংশোধন না করায় তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদী পোষ্ট করেন।
পরবর্তী বাদীর অভিযােগের প্রেক্ষিতে আনােয়ারুল ইসঃ,সহ-সভাপতি/সাংগঠনিক টিম প্রধান,রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত,বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ,কেন্দ্রীয় কমিটি,একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন যে,তথাকথিত বগুড়া জেলা শাখার অবৈধ আহ্বায়ক কমিটি বাতিল এবং পুরাতন কমিটি বাস্তবায়ন করলে বগুড়া জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ আরও ভালাে ও গতিশীল হবে, এবং রাগেবুল আহসান রিপু (সাধারণ সম্পাদক),এ্যাডঃ আলহাজ্ব মোঃ আমানউল্লাহ (সহ-সভাপতি) এবং এম শাহরিয়ার ওপেল (সাংগঠনিক সম্পাদক) বগুড়া জেলা আ’লীগ কতৃক উক্ত অবৈধ আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের লিখিত জোর সুপারিশ করেন। এতেও প্রতিকার না পেয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
বাদীর নিকট মামলার কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বগুড়া জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বলবৎ থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় কমিটি সম্পূর্ণ অন্যায় ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত ভাবে অবৈধ আহবায়ক কমিটি সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে আমি বগুড়া জেলা আ’লীগ,কেন্দ্রীয় আ’লীগ এবং কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগসহ একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করি। কিন্তু কতৃপক্ষ অদ্যবধি কোন বিধি-ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আদালতের দারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি ।
বিবাদী কেন্দ্রীয় আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের মতামত জানার জন্য মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
উক্ত মামলার পরিচালনাকারী এ্যাডঃ সৈয়দ আসিফুর রহমান আসিফ এবং এ্যাডঃ ওমর ফারুক এর নিকট মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানায়,বাংলাদেশ আ’লীগের গঠনতন্ত্রের ২৫নং অনুচ্ছেদের (৭) উপবিধি মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন। তাই গঠনতন্ত্র অনুসারে বগুড়া জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও বিবাদীগণ যোগসাজসের মাধ্যমে ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত ভাবে অবৈধ আহবায়ক কমিটি সৃষ্টি করে। যাহা আইনগত ভাবে বেআইনি,বিধি বহির্ভূত,অকার্য্যকর-অচল এবং অবৈধ কমিটি।