বিএনপির অনেক কিছু শেখ হাসিনার কাছ থেক শিক্ষা নেওয়া উচিত : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ :
শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের প্রতি যে মহানুভবতা দেখিয়ে চলেছেন, তা থেকে বিএনপির অনেক কিছু শিক্ষণীয় আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া চরম অমানবিক আচরণ করার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের প্রতি যে মহানুভবতা দেখিয়ে চলেছেন, তা থেকে বিএনপির অনেক কিছু শিক্ষণীয় আছে।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
মানবাধিকার নিয়ে বিএনপির নানা বিরূপ মন্তব্যের প্রসঙ্গ ধরে প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ নেত্রী দেশে ফিরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে তাদের বাড়িতে একটা মিলাদ পড়াতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান তাকে সে বাড়িতে ঢুকতে দেননি। রাস্তায় বসে মিলাদ পড়াতে হয়েছিল। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২২ জন নেতাকর্মীসহ ২৪ জন নিহতের পর সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের প্রতি হাস্যরস করে বিএনপি নেতারা যখন বলেছেন, শেখ হাসিনা নিজেই গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। তখনও বেগম জিয়া হেসেছেন। নিজের জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট যখন সহাস্যে কেক কাটেন। এসব সময় তাদের মানবাধিকারের কথা মনে ছিল না, মনে থাকে না?
গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, নিজেদের ঘর থেকে শুরু করে আশেপাশে ও সমাজের মানুষের অধিকার রক্ষায় যদি আমরা পদক্ষেপ নিতে পারি, তবেই রাষ্ট্রে মানবাধিকার রক্ষা হবে। একই সঙ্গে মানবাধিকার রক্ষায় যেসব দেশের কণ্ঠ উচ্চকিত, সেইসব দেশে যখন মানুষের অধিকার রক্ষিত হবে, তখনই বিশ্ব পরিমন্ডলে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, অন্যথায় মানবাধিকার শুধু একটি শ্লোগান হয়েই থেকে যাবে।
সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম। উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী সভাটি উদ্বোধন করেন। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সভাপতি কাজী রিয়াজুল হক, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ প্রমুখ।