1. admin@dailyprothomsomoy.com : admin :
  2. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
শেরপুরে দইয়ের বাজারে ধস বিপাকে খামারীরা শেরপুরে বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও গণ দোয়া  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফেনী জেলা যুবদলের উদ্যোগে ফুলগাজীতে স্বেচ্ছাশ্রমে বেগম খালেদা জিয়া সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন ছাগলনাইয়া ছাত্রদলের ফ্যাস্টিবল ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত ফুলগাজীতে শেখ নুর উল্ল্যাহ চৌধুরী এতিমখানা ও মাদ্রাসায় ফেনী বন্ধুসভার খাবার ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ  ছাগলনাইয়ায় নিজপানুয়া যুব সংঘের কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন ও মাদক বিরোধী সমাবেশ হয়েছে ছাগলনাইয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে কলেজ ছাত্রদলের বই উপহার ছাত্রদলের উদ্যোগে ফেনী সরকারী কলেজে উন্মুক্ত লাইব্রেরি উদ্বোধন  ফেনী জেলা সিএনজি মালিক সমিতির আত্মপ্রকাশ  ফেনীর সোনাগাজীর সোনাপুরে প্রবাসীর ঘরে দূর্ধর্ষ চুরি আলহাজ্ব আব্দুল হক চৌধুরী ডিগ্রী কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেরপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ ৩ জন গ্রেফতার  সাংবাদিক পিনু শিকদারকে নিয়ে ফেক আইডি থেকে অপপ্রচার, থানায় জিডি নিজাম হাজারীর নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক শাহ আলম এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে নির্বাচন হতে পারে ডিসেম্বরেই, তবে ২৬’র জুনের পর নয়: প্রধান উপদেষ্টা ছাগলনাইয়ার জয়পুর চ্যাম্পিয়ন শীপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারীরা কেউ টাকা মেরে চলে যায়নি:প্রধান উপদেষ্টা বিসিবির গঠনতন্ত্রে অসঙ্গতি পেয়েছে দুদক ফেনীতে বিজিবি’র হাতে আটক ভুয়া এনএস আই কর্মকর্তা সাবেক এমপি মমতাজ বেগমকে গ্রেপ্তার

“দরজায় কড়া নাড়ছে বিদায়ঘণ্টা” সমালোচনায় বিদায় হুদা কমিশনের

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশ : শুক্রবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
দরজায় কড়া নাড়ছে বিদায়ঘণ্টা। দায়িত্ব গ্রহণের পর কেটে গেছে চার বছর এগারো মাস সাতাশ দিন। ক্যালেন্ডারের পাতা অনুযায়ী বাকি আর মাত্র তিন দিন। এরপরই ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সব অভিযোগকে পেছনে ফেলে বিদায় নেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন। তবে প্রশ্ন উঠতেই পারে গত পাঁচ বছরে ভোটারদের আস্থা অর্জন করে কতটা ভালোবাসা নিয়ে বিদায় নিচ্ছে হুদা কমিশন। এ বিদায় কতটা আনন্দের ও প্রাপ্তির।
স্থানীয় সরকার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, ভালোবাসা দিবসে ভোটাধিকার হরণ করে বিদায় নিচ্ছে ইসি। তিনি বলেন, তারা আমাদের ভালোবাসা নিয়ে যেতে পারবে না। তারা নির্বাচনের বিষয়ে জনগণের ভেতরে অনাস্থা সৃষ্টি করেছে। আমাদের ভোটাধিকার হরণ করেছে। তারা আমাদের প্রতারিত করে যাচ্ছে। এ অভিজ্ঞতার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। এরকম নির্বাচন কমিশন যেন ভবিষ্যতে আর না আসে। যদি এ পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হয় তা হলে আমরা মহাসঙ্কটের দিকে যাব।
সময়টা ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। রাষ্ট্রের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সাংবিধানিক শপথ গ্রহণ করে দেশের ১২তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা কমিশন সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান। ৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কেএম নূরুল হুদাকে সিইসি করে পাঁচ সদস্যের কমিশন নিয়োগ দেন। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, রাজশাহীর অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম কবিতা খানম ও ব্রি. জে. (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী। এরই মধ্যে কেটে গেছে পাঁচ বছর। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত পাঁচ বছরে ইসি জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ ও সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার নির্বাচন সম্পন্ন করেছে বর্তমান কমিশন। তবে হাতেগোনা কয়েকটি বাদে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচন ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে কমিশনের ভেতর থেকেও প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার।
অভিযোগ রয়েছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান কমিশন। বর্তমান কমিশনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার পর শুরুতেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে। কুমিল্লার জেলা প্রশাসক থাকাকালে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ‘জনতার মঞ্চের’ সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তারা বলেছেন, সিইসি সরকার ঘরানার লোক। তার কিছুটা আভাস মেলে জাতীয় নির্বাচনে। রাজনীতির সঙ্গে সেভাবে সম্পৃক্ততা না থাকলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকেটে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সিইসির ভাগনে এসএম শাহজাদা। এরপর গত পাঁচ বছরে আর বিতর্ক পিছু ছাড়েনি।
বর্তমান কমিশনের উল্লেখযোগ্য কিছু নির্বাচন : দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম অভিযোগ ওঠে ২০১৮ সালের ১৫ মে মাসে গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে। এরপর রাজশাহী, বরিশাল, গাজীপুর সিটি নির্বাচনও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ পেলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইসি।
এরপর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের আগের রাতেই ক্ষমতাসীনরা ব্যালট বাক্স ভর্তি করে বলে অভিযোগ তোলে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো। ভোটের কেন্দ্রভিত্তিক ফল ছিল অসঙ্গতিপূর্ণ। ১০৩টি আসনের ২১৩টি ভোটকেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে ভোটারদের অনীহা বাড়তে থাকে। যার প্রভাব পড়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইভিএমে নেওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোট পড়েছিল মাত্র ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং দক্ষিণে ২৯ শতাংশ। একই অবস্থা ছিল পরবর্তী পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনগুলোতেও।
তবে শেষ সময়ে এসে ইউপি নির্বাচনে ভোটের হার বেড়ে যায়। একই সঙ্গে বাড়তে থাকে সহিংসতা ও প্রাণহানি। ইসির তথ্য অনুযায়ী চলমান ইউপি নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৫ শতাংশ। বিপরীতে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের তথ্য অনুযায়ী ভোটের আগে ও পরে সব মিলিয়ে গত ৫ মাসে নির্বাচনি সহিংসতায় সারা দেশে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ গত সোমবার সপ্তম ধাপের নির্বাচনে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কিশোরসহ দুজন নিহত হয়েছেন। সহিংসতা ছাড়াও ইউপি নির্বাচনে ভোট ছাড়া নির্বাচিতদের সংখ্যা বেড়ে যায়। ইউপি নির্বাচনের সপ্তম ধাপ পর্যন্ত বিভিন্ন পদে ১ হাজার ৬৭১ জন প্রার্থী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন ১১১ জন। ফলে ভোট ব্যবস্থার ওপর আস্থাহীন হয়ে পড়েন ভোটাররা। ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির শত শত অভিযোগ থাকলেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামের দাবি, সবকিছুই আইন অনুযায়ী হয়েছে।
সময়ের আলোকে তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে যা করেছি সবকিছু আইন অনুযায়ী করেছি। আর আইন অনুযায়ী করার জন্যই আমরা শপথ নিয়েছি। এখানে সফলতা ও ব্যর্থতার কিছু নেই। সফলতা ও ব্যর্থতার মূল্যায়ন করবে অন্যরা। আমরা শুধু আমাদের দায়িত্ব পালন করে গেছি ভবিষ্যতে যারা আসবে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
ইভিএম বিতর্ক : বর্তমান কমিশনের বিরুদ্ধে আরেকটি গুরুতর অভিযোগ হলো ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার। বিরোধী দলগুলো ইভিএমকে ভোট কারচুপির যন্ত্র বলে অভিযোগ করলেও ইভিএমেই অনড় ছিল ইসি।
তবে বিদায়ি কমিশনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা ছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অনাস্থা। অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচন নিয়ে ইসি যখন সন্তোষ প্রকাশ করেছে, রাজনৈতিক দলগুলো তখন সেটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বেশিরভাগ ভোট নিয়েই নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন নির্বাচন নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছিল সেগুলো উপেক্ষা করায় নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তবে এসব অভিযোগ মানতে নারাজ ইসি।
অনাস্থা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে আবার ওই দলটাই যদি প্রতীক ছাড়া অংশগ্রহণ করে তা হলে কমিশনের প্রতি অনাস্থা প্রমাণ হয় কী করে? তারাই তো প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দিয়েছে। এ ইউপি নির্বাচনেও বিএনপির শত শত প্রার্থী জয়লাভ করেছে। তা হলে অংশগ্রহণ করল না কীভাবে?
বিতর্কহীন নির্বাচন : সব নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক থাকলেও কিছু নির্বাচন ছিল বিতর্কের ঊর্ধ্বে যেমন ২০১৭ সালের মার্চে কুমিল্লা, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন করে প্রশংসিত হয়েছিল হুদা কমিশন। এরপর ডিসেম্বরে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনও ভালো হয়েছিল। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনও ছিল সুষ্ঠু ও বিতর্কমুক্ত। এর বাইরেও কিছু প্রশংসাযোগ্য কাজ করেছে ইসি। যেমন- অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল, স্মার্ট এনআইডি কার্ড ও মুক্তিযোদ্ধাদের এনআইডিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা লেখা ইত্যাদি।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY POPULAR HOST BD