বগুড়া শেরপুরে ভবানীপুর ইউনিয়নে গড়ে উঠা এগ্রো আর্টস কোল্ডষ্টোরেজ কর্তৃপক্ষের কান্ডজ্ঞানহীনতায় বায়ুদূষণসহ চলাচলে চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে পথচারীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্র্যাকবটতলা ভবানীপুরের রাস্তায় আম্বইল বেলতলা নামক স্থানে রাস্তার দুইপাশেই কয়েকটন পঁচা আলু ফেলেছে এগ্রো আর্টস কোল্ডষ্টোরেজ কর্তৃপক্ষ। কোল্ড স্টোরের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ না করা সহ কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই বিপুল পরিমান আলু পচে যেতে পারে বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা।
ফলে বায়ুদূষণসহ নানা রকমের বিড়াম্বনার শিকার ইজিবাইক ভ্যান ভটভটি চালকসহ সাধারণ পথচারীরা।
ইজিবাইক ভ্যান ভটভটি চালক যাত্রী এবং এলাকাবাসী এই প্রতিবেদককে জানায়, ভবানীপুর বিশালপুর মির্জাপুর শাহবন্দেগী ইউনিয়নসহ শেরপুর এবং অন্য এলাকা থেকে আগত লোকজন এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে। এগ্রো আর্টস কোল্ডষ্টোরেজ এর পঁচা আলু নির্ধারিত জায়গায় মাটি চাপা না দিয়ে সরকারি রাস্তার দুইপাশে ফেলার কারণে যে দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে পায়ে হাঁটা সাধারণ পথচারী বা যাত্রীবাহী ভ্যান ভটভটি ইজিবাইক উক্ত স্থানের কাছাকাছি এলেই দূর্গন্ধে যাত্রীরা নাক কাপড় দিয়ে চেপে ধরার পরেও বমি হওয়ার উপক্রম শুরু করে এবং মহিলা ও শিশুযাত্রীদের অনেকেই বমি করে ফেলে।
এব্যাপারে আলুর ব্যাবসায়ী ধুনট এলাকার সোহরাব হাজির সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এগ্রো আর্টস কোল্ডষ্টোরেজ এর ম্যানেজার এম এ রশিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ধুনট এলাকার সোহরাব হাজী নামে এক ব্যাক্তি আমাদের ষ্টোরেজ এ আলু সংরক্ষণ করেছিল, তাকে অনেক বলার পরেও আলুগুলো না নিলে আমরা আলুগুলো ফেলে দিয়েছি। আলুগুলো ফেলার সময় যে তিব্র দূর্গন্ধ ছিল এখন ততটা নেই, পর্যায়ক্রমে দূর্গন্ধ কমে যাচ্ছে। তবে এই পঁচা আলু দিয়ে যে জৈবসার তৈরী হবে তা খুবই শক্তিশালী জৈবসার হবে।
এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া পরিচালক সুফিয়া নাজিম বলেন,যে কোনো কোল্ডষ্টোরেজের পঁচা আলু এভাবে যত্রতত্র ফালানো দন্ডনীয় অপরাধ। এমনটা হয়ে থাকলে তাকে অবশ্যই প্রচলিত আইনের আওতায় আনা হবে।