‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে’ সাভারে অনুষ্ঠিত বিএনপির মিছিলে বাধা ও লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এ অভিযোগ করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার দুপুরে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনি মহল্লায় ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবুর সভাপতিত্বে তার নিজ বাড়িতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিজভী।
সমাবেশ শেষে বিএনপির নেতা–কর্মীরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মিছিল বের করেন। মিছিলটি সালাউদ্দিন বাবুর বাড়ি থেকে শুরু হয়ে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাওয়ার পথে মডেল মসজিদের সামনে পৌঁছালে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং ঘটনাস্থল থেকে দুই বিক্ষোভকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
তবে পুলিশের দাবি বিএনপির নেতা-কর্মীরাই তাদের ওপর হামলা করেছে। প্রাথমিকভাবে আটক ও আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানান, মিছিল মহাসড়কে উঠতেই পুলিশ লাঠিপেটা করেন। মিছিলে ছিলেন রুহুল কবির রিজভী, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন বাবু। এ সময় প্রধান অতিথিদের দ্রুত উদ্ধার করে পল্টনের পার্টি অফিসে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সমাবেশ শেষে নেতা–কর্মীরা একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়ক দিয়ে এগোতে থাকে। কিন্তু কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ অতর্কিত হামলা ও নির্বিচারে লাঠিপেটা করে।
এ সময় অন্ততপক্ষে ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। কয়েকজনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এ আটক নেতা–কর্মীদের মুক্তির দাবি জানান রিজভী।
এ দিকে পুলিশ জানায়, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি সালাউদ্দিন বাবুর বাড়িতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা সমাবেশ করেন। এরপর মহাসড়কে বিক্ষোভের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি নেতা–কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করলে এসআই কামরুজ্জামান ও একজন কনস্টেবল আহত হয়।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, আমাদের দুজন সদস্য আহত আছেন। একজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তমিজউদ্দিন ও নাজিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।