“দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মর্মে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের আওতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ২৬ এপ্রিল সকাল ১১.৩০ টায় শেরপুর উপজেলা অডিটরিয়ামে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনাড়ম্বর পরিবেশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময়, সুবিধাভোগীদের হাতে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন বগুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি সাবরিনা শারমিন ও, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, পৌর মেয়র জানে আলম খোকা, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ জামাল সিরাজী, শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামসুন্নাহার শিউলি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত প্রকল্পের সুবিধা ভোগী ব্যক্তিবর্গ । মহান বিজয়ের ৫০ বছর পূর্ণ করেছে স্বাধীন বাংলাদেশ। দরিদ্র কবলিত তৎকালীন বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাঁড় করানোর প্রত্যয় গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে এদেশের আপামর মেহনতী মানুষ। কেননা, তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন এ জাতির সচ্ছলতার। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া অসমাপ্ত পরিকল্পনা এবং স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আজ সেই স্বপ্নের তৃতীয় ধাপ বাস্তবায়ন হলো তার ঘোষণার মাধ্যমে। “মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না”- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িতব্য কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে নির্মিত ভূমিহীন প্রত্যেককে ২শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান প্রদানপূর্বক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সারাদেশের মতো বগুড়াতেও প্রতিজন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ২০ ফুট বাই ২২ ফুট প্রস্থের জমির উপর রয়েছে দুটি সেমি-পাকা কক্ষ, রান্নাঘর, সংযুক্ত টয়লেট, ইউটিলিটি স্পেস, সামনে খোলা বারান্দা। জেলা প্রশাসকের সার্বিক দিকনির্দেশনায় প্রত্যেক সুবিধাভোগীর নামে ২ শতাংশ সরকারি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক কবুলিয়ত দলিল রেজিস্ট্রেশন, নামজারি সম্পন্নকরণ ও গৃহ প্রদানের সনদ প্রদানসহ সকল কাজ সম্পন্ন। উদ্বোধণ শেষে দ্রুত তালিকা অনুযায়ী উপকারভোগীদের মাঝে জমিসহ নির্মানকৃত ঘর গুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে।আজ,সবার কণ্ঠেই অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়