বগুড়ার শেরপুরে আমগাছ থেকে আম পারতে গিয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্টে এক কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
শুত্রুবার (৩ জুন) দুপুর ২টার দিকে শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের কালসিমাটি গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজ শিক্ষক মো. জাহিদুল আহম্মেদ (৪৮) কালসিমাটি গ্রামের মো. আব্দুল জব্বার মাষ্টারের ছেলে। তিনি কাজীপুর উপজেলার আমিনা মুনসর ডিগ্রী কলেজের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
নিহতের চাচাতো ভাই ফারুক আহমেদ জানান, দুপুরে আমগাছে বাঁশের নগা দিয়ে আম পাড়ার সময় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের টুনিপাড়া দক্ষিনপাড়া গ্রামে ঝড়ে উপরে যাওয়া বাঁশঝাড়ের চাপায় পড়ে ছাব্বির হোসেন (৩) নামের এক শিশু শুক্রবার (৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় তার বোন আমেনা খাতুন (৭) আহত হয়েছে। নিহত ছাব্বির ও আহত আমেনা খাতুন ওই গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে ও মেয়ে।
এলাকাবাসী জানান, গত কয়েকদিন আগে ঝড়ে আমিনুলের বাড়ীর পাশের বাশেরঝাড় উপড়ে গিয়ে গোড়ায় গর্ত হলে সেই গর্তে বৃষ্টির পানি জমাট বাধে। যদিও বাঁশঝাড়ের মালিক বাঁশগুলে কেটে নিয়ে যায় কিন্তু শুক্রবার দুপুরে ছাব্বির ও আমেনা দুই ভাইবোন সেই গর্তে জমাট বাধা পানির মধ্যে খেলা করছিল। এ সময় বাঁশঝাড়টি আবার পুর্বের অবস্থানে আসলে তার নিচে দুই ভাইবোন চাপা পরে। এতে ঘটনাস্থলেই ছাব্বির নিহত হয়। এবং আমেনা খাতুন গুরুত্বর আহত হয়। এলাবাসী ও আত্মীয় স্বজন তাদের উদ্ধার করে আমেনাকে চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বিজয় বাংলাকে জনান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে।