আজ শুক্রবার(১০ই জুন) বাদ জুমা ফেনী দোয়েল চত্বরে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফেনী জেলা আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবী জানানো হয়।

সংগঠনের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ফরহাদ এর সঞ্চালনায় ও জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল করিম এর সভাপতিত্বে মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল করিম বলেন, এই ঘটনা মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। এমন জঘন্যতম অন্যায় কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বিশ্বনবীর অবমাননার ঘটনা চরম অসভ্যতাকেও হার মানিয়েছে। ভারত সরকারকে এর চড়া মূল্য দিতে হবে।

তিনি বলেন, এহেন অসভ্য কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ বিভিন্ন মুসলিম বিশ্ব রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিশ্বের অন্যতম মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকেও অবিলম্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে হবে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভারত সরকারকে মুসলিম উম্মাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড না করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, মুসলমানরা তাদের নবীকে নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। বিশ্বনবীর মর্যাদা রক্ষার জন্য আমরা জীবন দিতেও কুণ্ঠিত হবো না। বীরের জাতি মুসলিমরা জেগে ওঠলে ভারতকে উচিত শিক্ষা দেয়া হবে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন ফেনী জেলার উপদেষ্টা মাওলানা কাজী গোলাম কিবরিয়া, সহ সভাপতি গাজী এনামুল হক ভূঁইয়া,দুধমুখা দরবার শরীফের পীর সাহেব মাওলানা লোকমান হোসাইন ,বামুক ফেনী জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নাসির উদ্দিন, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুর রাজ্জাক,জেলা আন্দোলনের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলাউদ্দিন সাবেরী, ইসলামী যুব আন্দোলনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মুফতি আহমদ ইউসুফ, জেলা ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি এইচ এম আবু রায়হান, মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ, মাওলানা ইসমাঈল হাবীব, মাওলানা মোজাম্মেল হক ফারুক ফরায়েজী সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা মাওলানা নুর মোহাম্মদ আজমী,মাওলানা তৈয়ব সোলতানী, মাওলানা মনির আহমদ আরশাদী, জনাব মকসদুর রহমান মিয়াজী,যুব আন্দোলনের জেলা সভাপতি, মুফতি সালাহুদ্দীন আইয়ুবী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাহিদ হাসান চৌধুরী,সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল শামীম ও ছাত্র নেতা ইমরান হোসাইন আজিমসহ আন্দোলন, যুব আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলনসহ সকল সহযোগী সংগঠনের কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।