এক পশলা বৃষ্টিতেই স্বস্তি জনজীবন ও প্রাণীকূলে। টানা কয়েকদিনের প্রচন্ড তাপদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন ও প্রাণীকুলে স্বস্তি দিতে এক পশলা বৃষ্টির ছোঁয়া পেয়েছে বগুড়া শেরপুরবাসী। তাপদাহ ও খরায় রোপা আমন নিয়ে হতাশাগ্রস্থ কৃষকের মূখে ফুটেছে খুশির হাসি।
এবারের ভরা বর্ষাকাল ছিল বৃষ্টিহীন। একদিকে বৃষ্টিহীন বর্ষাকাল অন্যদিকে প্রখর তাপদাহ আর ঘন ঘন লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ এ উপজেলার মানুষ এক পশলা বৃষ্টিতেই পেল স্বস্তি আর কৃষকের মূখে ফুটে উঠেছে খুশির হাসি।
রোববার (২৪ জুলাই ) সকালের আকাশে মেঘের কালো ছায়ার পর শুরু হয় বৃষ্টি। খুব বেশী বৃষ্টি না হলেও প্রচন্ড তাপদাহ আর তীব্র গরমে নাভিশ্বাস উঠা উপজেলার সব শ্রেণিপেশার মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছে এই বৃষ্টিতে।
উপজেলার কয়েকটি গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ ও পৌরশহরের রিকশাচালকসহ বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, গত কয়দিন ভ্যাপসা গরম আর প্রখর তাপদাহে একেবারে নাজেহাল অবস্থা। জীবন জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন প্রখর রোদের মধ্যেই কাজ করি।
সকাল দুপুর রাত তিনবার গোসল করেও শরীরে একটুও স্বস্তি লাগেনা।
এত খাটুনির পর গরমের কারণে খাওয়ারও রুচি থাকেনা।
আর বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে রাতে গরমে ঘুমাতেও পারি না। হঠাৎ সকালে অল্প একটু বৃষ্টি নামায় যেন শান্তি লাগছে।
এছাড়াও কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এবার খরার তীব্রতায় রোপা আমন ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। রোদে পুড়ে বিবর্ণ হয়েছিল রোপা আমন ধানের চারাগুলো।
এই একটুখানি বৃষ্টি চারাগাছ (বিচন ) এবং ধানগাছে প্রাণের সঞ্চার ঘটালো।
তাছাড়াও পানির অভাবে উচু জমিগুলোতে বীজ রোপণ করতে পারছিলামনা। ফলে চরম হতাশা ও দুঃচিন্তায় ছিলাম।
তাই এই বৃষ্টি হওয়ায় শরীরে স্বস্তির পাশাপাশি পাচ্ছি মানসিক প্রশান্তির।