রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে মোটর মালিক সমিতি। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) ভোর থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে। হঠাৎ করে বাস চলাচল বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এই ধর্মঘট সমাবেশে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। শনিবার রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিএনপির গণসমাবেশের ঘোষণা রয়েছে। দলটির নেতাকর্মীরা বলছেন, গণসমাবেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি ঠেকাতে বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বাস মালিক সমিতির নেতারা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, মহাসড়কে অনুমোদবিহীন থ্রি-হুইলার, নসিমন, করিমনসহ অন্যান্য অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।
এর আগে ময়মনসিংহ ও খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশের আগেও একইভাবে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। রংপুরেও সমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হতে পারে আশঙ্কায় গত বুধবার সকাল থেকেই বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা আসা শুরু করেছেন সমাবেশস্থলে। তাদের অনেকেই উঠেছেন আত্মীয়-স্বজন, পরিচিতজনদের বাসাবাড়ি এবং ছাত্রাবাসসহ আবাসিক হোটেলগুলোতে। এদিকে গণসমাবেশে লোকসমাগম কমাতে পুলিশ নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু। তিনি বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তালিকা তৈরি করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এবং আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে নানান অজুহাতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে বিএনপির এসব কর্মসূচিকে পাত্তা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। এ প্রসঙ্গে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু বলেন, রাজনীতির মাঠ আমাদের দখলে রয়েছে। বিএনপির সমাবেশের পর আমাদের পাল্টা সমাবেশ করার দরকার নেই। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) আবু মারুফ হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, বিএনপির সমাবেশে কোনো বাধা দেওয়া হচ্ছে না। এই সমাবেশকে ঘিরে অন্য কোনো পরিকল্পনা থাকলে আমরা কঠোর হস্তে দমন করব। সেই অনুযায়ী নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।