সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বড় পর্দায় কাতার বিশ্বকাপের ফুটবল খেলা দেখার আয়োজন করা হয়েছে। বাদ যায়নি ফেনী পুরাতন কারাগারের সামনের এলাকাও। বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচেই
ফেনী পুরাতন কারাগারের সামনে স্থাপিত বড় পর্দায় দেখা হয়। ফুটবল সমর্থকরা যার যার প্রিয় দলের খেলা একসাথে বসে উপভোগ করেন। প্রিয় দলের খেলা চলাকালীন গোলের সম্ভাবনা দেখলেই সমর্থকরা হউ-হুল্লোড় শুরু করেন।
এইদিকে কেউ পরে এসেছেন মেসির মুখোশ, আবার কারো হাতে আর্জেন্টিনালের জাতীয় পতাকা।
ঘড়িতে বাংলাদেশ সময় রোববার (২৭ নভেম্বর) রাত ১টা । বিশ্বকাপের এবারের আসরে কাতারে মেক্সিকোর বিপক্ষে লড়াই করছে আর্জেন্টিনা।
ফেনী পুরাতন কারাগারের সামনে এভাবেই হাজির হন ৫০ হাজারের বেশি ভক্ত। কারণ একটাই, ২৫ ফুটের বিশাল এলইডি স্ক্রিনে আর্জেন্টিনা দলের
খেলা দেখা।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের খেলা উপভোগ করতে দুই ঘণ্টার জন্য ফেনী পাইলট স্কুলের গেট থেকে শুরু করে পৌরসভার সামনে, পেট্রল পাম্পের সামনে ও ফাইভ স্টার হোটেলের সামনে, স্মৃতিস্তম্ভের প্রাঙ্গণ লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আর্জেন্টিনা সমর্থকরা সারাক্ষণ জয়ধ্বনি দিচ্ছেন লিওনেল মেসির নামে। তাদের মধ্যে তরুণ বেশি। তবে কিছু তরুণীকেও দেখা গেছে। প্রথমার্ধে ভক্তরা কিছুটা চুপচাপই ছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের দুই গোলে বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়েন উপস্থিত সবাই।
খেলা শেষে মেসির ভক্ত শফিক বলেন, ‘বড় পর্দায় মেসির খেলা দেখতে এসেছিলাম। দুর্দান্ত খেলে প্রিয়দল আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে মেক্সিকে হারায়। তাই আমার কাছে খুব আনন্দ লাগতেছে।
প্রিয় দলের জার্সি গায়ে খেলা দেখতে আশা ফয়সাল নামের এক দর্শক বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী ছিলাম। মেসি জাদুতে জয় হয়েছে আর্জেন্টিনার। এটি নিশ্চিতভাবে বললে চলে। মেসি জাদুতে জয় হবে আর্জেন্টিনার। শুধু গ্রুপ পর্বে নয় একে একে সব দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপও আসবে আর্জেন্টিনার হাতে।
সেপাল নামের আরেক দর্শক বললেন, এবার শেষবারের মতো বিশ্বকাপ খেলছেন মেসি। দর্শক হিসেবে আমরা যারা আছি প্রত্যাশা করি বিশ্বকাপও আর্জেন্টিনারই নিবে।