পরশুরামে আমন ধান উৎপাদনে বাম্পার ফলন। নতুন ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণ বইছে।চার দিকে শীতল বাতাসে সোনালী আমন ধানের দোল খাচ্ছে পরশুরামের মাঠে। । ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের শ্রমিক ও কৃষকদের পরিবারের সদস্যরা।রোপণের সময় অনাবৃষ্টি, সার সংকট,পানি সেচ দিয়ে এমন কষ্টের কথা ভুলে পরম যত্নের সাথে চলছে ধান কাটা। চলতি বছরে আমন ধানের ফলন ভালো হলেও অনাবৃষ্টি সারের দাম বাড়ার ফলে চাষাবাদে অন্য বছরের তুলনায় বেশি ব্যয় হয়েছে। তাই বর্তমান বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন স্থানীয় কৃষকরা।বক্স মাহমুদ ইউনিয়নে ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কৃষক শহিদ ফেনীর সময় কে জানান আই যদি জানতাম ধানের দাম এতো হবে তা হলে আরও কিছু জমি বাড়িয়ে চাষ কইত তাম। শুরু তে জড়ি নাই, হানি নাই ভাতের বল দিয়ে হানি হিচি হিচি রোয়া লাগাইছি।অহন আর দুঃখ নাই। ধানের যে দাম।যত জনে চাষ কইচ্ছে বেঙ্গুন খুশি। পরশুরাম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নয়ন নাথ জানান, পরশুরামে এ বছর আমন ধানের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার হেক্টর। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৮শত ৯০ হেক্টর। অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি আরও বলেন সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে হাইব্রিড। প্রতি ২ শতাংশে ধান উৎপাদন হয়েছে ১ মণ বা আরও বেশি। পরশুরাম পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের অনন্ত পুর গ্রামের চাষী কার্তিক দাস ও নুর মোহাম্মদ জানান শুরুতে আমন চাষীদের ভোগান্তির শেষ ছিলোনা। মনে চাইছে জীবনে আর চাষ না করি। অনাবৃষ্টি ও সারের দাম অস্বাভাবিক থাকায় ব্যয় বেশি হয়েছে। কিন্তু বাম্পার ফলন দেখে সব দুঃখ কষ্ট ভুলে গেছি। একই এলাকার কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, এবার আমন মৌসুমে যথেষ্ট ভালো ফলন হয়েছে। গত ১০ বছরে এমন ফলন দেখে নি।কিন্তু আমন মৌসুমে অনাবৃষ্টি,সেচ দিয়ে চাষাবাদ করতে হয়েছে। যেমন ছিল দিন মজুরীর দাম তেমন ছিল তেলের দাম। এর মধ্যে বৃদ্ধি পায় সারের দাম। নেই পরশুরাম উপজেলা সার দোকানে সার অন্য উপজেলা থেকে সার কাঁদে করে আনি।তার পর জমিনে সার দিই। কৃষি অফিস থেকে আমরা অনেক সেবা পেয়েছি।কৃষি কর্মকর্তারা সরেজমিনে ঘুরে তদারকী করেছে।এই কারণে পোকা মাকড় বেশী আক্রমন করতে পারেনি।ধানের দাম থাকায় কোনো দুঃখ নাই। এতে বুঝা যায় কষ্টের ফল মিষ্টি হয় এটা বাস্তব প্রমাণ। ভালো ফসল উৎপাদনে কৃষকের ঘরে নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্য লুকিয়ে আছে তা সবার ভালো করে জানা সবার ঘরে ঘরে চলছে খোলা পিঠা,চালের তৈরি পায়েস,পোলাও সবাই কে খাওয়া হয়। এব্যাপারে পরশুরাম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ খোরশেদ হাছান বলেন, আমন চাষের প্রথম দিকে অনাবৃষ্টি থাকলেও পরবর্তীতে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। এবং কৃষক বাম্পার ফলন পেয়েছে। এবার মাঠে রোগ, পোকা মাকড় তেমন ছিল না। ধানের বাজার দর আর্কষনীয় হওয়ায় কৃষক আগামী বোরো মৌসুমে অধিক পরিমাণে ধান চাষ করবে বলে আশা এ-ই কর্মকর্তার।