বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার। যেখানে একটি পরিবারও থাকবেনা ভূমিহীন ও গৃহহীন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন পূরণের প্রত্যয় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজে করে যাচ্ছেন। যার ধারাবাহিকতায় এই উপজেলা আজ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা হতে চলেছে। সবার সহযোগিতায় এই কাজটি সুসম্পূর্ণ হওয়ায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় বগুড়ার শেরপুর উপজেলাকে ভূমিহীন গৃহহীনমুক্ত করার লক্ষ্যে উপজেলা যৌথ কমিটির সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিলুফা ইয়াসমিন।
সোমবার (১৭ জুলাই ) উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানার সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় উপজেলা মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে পূর্ণবাসনের নিমিত্তে এই উপজেলার”ক ” শ্রেণীর তালিকা তালিকাভুক্ত ভূমিহীন গৃহহীনদের পর্যায়ক্রমে প্রথম ১৬৩ টি ২য় পর্যায়ে ১৭ টি ৩য় পর্যায়ে ১৪৫টি ও ৪র্থ পর্যায়ে ১৭১টি পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়েছে। যাচাইবাছাই শেষে “ক'” শ্রেণিভূক্ত পূর্ণবাসনযোগ্য আর কোনো পরিবার অবশিষ্ট নেই বলে উপজেলা টাস্কফোর্স ও যৌথ সভায় সকলের মত প্রকাশের মধ্যদিয়ে শেরপুর উপজেলাকে ভূমিহীন গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকবুল হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও সাপ্তাহিক আজকের শেরপুর পত্রিকার সম্পাদক মুন্সী সাইফুল বারী ডাবলু, সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, প্রকল্প কর্মকর্তা শারমিন শিউলি,সিমাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান গৌড় দাস রায় চৌধুরী, ভবানিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পৌর মেয়র আলহাজ্ব জানে আলম খোকা, সাপ্তাহিক তথ্যমালা পত্রিকার সম্পাদক সুজিত বসাক, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দিপক সরকার প্রমূখ।
বক্তারা, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ ও রাষ্ট্রের বহুমুখী উন্নয়নের উপর আলোকপাত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, সুধী সমাজ, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
এছাড়াও নানা পেশাজীবীর মানুষসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।