আর কিছুদিন পরেই কুরবানীর ঈদ। চাঁদ দেখা গেলেই বাজারে গরু, ছাগল,মহিষ,ভেড়া উঠতে শুরু করবে।ছাগলনাইয়ায় গরু ছাগলের পাশাপাশি মহিষের চাহিদা অনেক বেশি।বিশেষ করে গরুর তুলনায় মহিষের মাংসে চর্বির পরিমান কম থাকায় এবং এলার্জির ঝুঁকি না থাকায় এখনকার মানুষের কাছে দিন দিন মহিষের চাহিদা বাড়ছে।এছাড়াও মহিষের আকার বড় হওয়ায় কয়েকজন মিলে শরিক দিতে পারায়ও মহিষের চাহিদা বেশি।খামারীরা জানায় গরুর তুলনায় মহিষের দাম তুলনামূলকভাবে কম আবার মাংসের পরিমান বেশি হওয়ায় এখানকার বাজারগুলোতে মহিষের চাহিদা অনেক বেশি।খামারীরা জানায় তিন থেকে চারমাস পূর্বে হাতিয়া থেকে এসব মহিষ এনে এখানকার খামারগুলোতে কুরবানির জন্য এসব মহিষ লালানপালন করা হয়। খামারি জানায় জমিতে বেড়ে উঠা প্রাকৃতিক সবুজ ঘাস খাওয়ানোর মাধ্যমে এসব মহিষ বড় করা হয়।সবুজ ঘাস ছাড়া আর কোন ধরনের কৃত্তিম বা ভেজাল কিছু খাওয়ানো হয়না।এবং এসব মহিষের মাংস মানব দেহের জন্য কোন ধরনের রোগ জীবানুর ঝুঁকি নেই।প্রতিটি মহিষের মূল্য সত্তুর হাজার থেকে দুই লক্ষ টাকা। খামারের মালিক রবিউল হক জানান এবারের কুরবানি করোনা পরিস্থিতে হওয়ায় বাজার মন্দা হওয়ার আশংকা আছে।তবে সরকারীভাবে পশুর হাট যথাযথভাবে বসানো হলে খামারীদের লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। খামারের মালিক আরো জানায় করোনা পরিস্থিতে কোন ক্রেতা জনসম্মুখে আসতে না চাইলে ফোনের(০১৮৫৯৭১০১১১) মাধ্যমেও যোগাযোগ করতে পারবে এবং কোন ক্রেতা খামার থেকে মহিষ ক্রয় করলে নিজস্ব রাখালের মাধ্যমে নিরাপদে ক্রেতার বাড়ীতে মহিষ পৌঁছে দেয়া হবে।উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেবপুর মনুরহাট বাজারের এই খামারটিতে বর্তমানে প্রায় অর্ধশত মহিষ রয়েছে।