‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ যেন ম্যাচটির সব রোমাঞ্চ জমিয়ে রেখেছিলেন শেষদিকে। লো-স্কোরিং ম্যাচটিতে শেষ ওভারে জমে উঠল লড়াই।
কিন্তু আরেকবার হতাশ হতে হলো বাংলাদেশকে। শেষ ওভারে জয়ের আশা জাগিয়েও তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে হারল টাইগাররা। সেই সঙ্গে বাবর আজমদের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
জয়ের জন্য ৬ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৮ রান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ দায়িত্বটা নিলেন নিজ কাঁধে। বোলিংয়ে এসে প্রথম বল ডট দেওয়ার পরের দুই বলে ছক্কা হাঁকাতে যাওয়া সরফরাজ আহমেদ ও হায়দার আলীকে ফেরান তিনি।
পরের বলে ইফতিখার আহমেদ এসেই ছক্কা মেরে সমীকরণটা সহজ করে ফেলেন। কিন্তু পঞ্চম বলেই তিনি ক্যাচ তুলে দেন ইয়াসির আলীর হাতে। পাকিস্তানের শেষ বলে দরকার হয় ২ রানের। মোহাম্মদ নওয়াজ ব্যাটিংয়ে নেমে চার মেরে দলকে এনে দেন নাটকীয় জয়।
বাংলাদেশের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে ১২৭ রান করে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। তার আগে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে করে ১২৪ রান।
শেষ বলে নওয়াজকে বোল্ড করে মাহমুদউল্লাহ জয় প্রায় এনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। কিন্তু সেই বলটি করার সময় ব্যাট তুলে সরে দাঁড়ান পাকিস্তানি ব্যাটার। টাইগাররা আবেদন করলেও তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। তা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এরপর তো চারই মারলেন নওয়াজ।
প্রথম দুই ম্যাচের মতো শেষ ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ বাংলাদেশ। মিরপুরের চেনা উইকেটে ফের টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের শামুক গতির ৫০ বলে ৪৭ রানের সুবাদে শতক পেরোনো পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে শেষ ওভার ছাড়া তেমন কোনো ঝামেলায় পড়তে হয়নি পাকিস্তানকে। ১০ ওভারে ১ উইকেটে যেখানে তাদের সংগ্রহ ছিল ৪৬, সেখান থেকে ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাবররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ১২৪/৭ (২০ ওভার) নাঈম ৪৭, শামীম ২২, আফিফ ২০; ওয়াসিম জুনিয়র ৪-১৫-২, কাদির ৪-৩৫-২
পাকিস্তান: ১২৭/৫ (২০ ওভার) রিজওয়ান ৪০, হায়দার ৪৫, বাবর ১৯; মাহমুদউল্লাহ ১-১০-৩, বিপ্লব ৪-২৬-১
পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা হায়দার আলী। পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিল সিরিজ।