বগুড়ার শেরপুর উপজেলার পানিসাড়া হিন্দুপাড়ায় আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে আবাদি কৃষি জমি খনন করে বানানো হচ্ছে পুকুর, ফলে হ্রাস পাচ্ছে কৃষি জমি। এই পুকুর খননের ফলে ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন কৃষকেরা, দৃষ্টি দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। সরেজমিনে দেখা যায় শেরপুর উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়ন এর পানিসাড়া গ্রামের হিন্দুপাড়ায় প্রভাবশালী” আব্দুল খালেক” এর ১০/১১বিঘা আবাদি কৃষি জমিতে চলছে বেকু দিয়ে মাটি খনন করে পুকুর তৈরীর কাজ। যে পুকুরটি খননের ফলে স্থানীয় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্তের আশঙ্কায় পরেছেন মহা বিপাকে। আব্দুল খালেকের আবাদি কৃষি জমি খনন করে পুকুর তৈরী প্রসঙ্গে একই গ্রামের কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, এই খননাধীন জমির পাশেই আমার ২০ শতাংশ ধানী জমি রয়েছে, সেই জমির পাশে পুকুর হলে আমার ধানী জমির উৎপাদন কমে যাবে। কারণ জমিতে সৃষ্টি হবে জলাবদ্ধতা ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশী কিন্তু পুকুর খননকারী প্রভাবশালী হওয়ার কারণে আমরা কিছু বলা তো দুরের কথা বিষয়টি তাকে বোঝাতেও পারছি না । পানিসাড়ার হিন্দুপাড়ার সহাদেব চন্দ্র সরকার বলেন খননাধীন এই পুকুরের পাশে আমাদের ৬ ভাইয়ের পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ৫ বিঘা ধানী জমি রয়েছে, এখানে পুকুর খনন হলে আমাদের উত্তর ও দক্ষিণের জমির পানি পশ্চিমে গড়ে, কিন্তু খননাধীন জমি পশ্চিমে হওয়ার কারণে পানি গড়ার ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে, ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে এখন যে পরিমাণ ফসল হয় সেই ফসলের উৎপাদন অর্ধেক হয়ে যাবে যাতে করে আমরা ফসল উৎপাদনে লোকসানের সম্মূখীন হব এবং অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব। এছাড়াও খননাধীন জমির মাঝ খান দিয়ে অন্যান্য জমিতে যাতায়াতের প্রধান আইল (জমির চারপাশের রাস্তা )। এই জন্য খননাধীন জমির চারিদিকে থাকা অন্যান্য মালিকের প্রায় ২০ বিঘা আবাদি কৃষি জমিতে যাতায়াতের সমস্যা হবে। পুকুর খনন প্রসঙ্গে খননাধীন জমির মালিক আব্দুল খালেককে পুকুর খননের কোনো অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমিতো কোনো অনুমতি নেইনি, কোনো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি? এ বিষয়ে মুঠোফোনে শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন উপজেলা ভূমি অফিস,এ ব্যপারে কৃষি অধিদপ্তরের কোনো কিছু করনীয় নাই। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী শেখ বলেন, আমরা পুকুর খননের কোনো অনুমতি দেয়নি বলে তিনি মোবাইল কেটে দেন,পরর্বতীতে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করে না।