ফেনীর ফুলগাজীতে সিএনজি অটোরিকশাচালক মুলকত আহম্মদ ওরফে কালা মিয়া হত্যা মামলায় রায়ে তিন আসামীর ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৬ জনকে বেকসুর খালাসের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারী) ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহম্মদ জানান, মুলকত আহম্মদ কালা মিয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হুমায়ুন হাছান রাকীব, আবদুর রহমান মানিক ও আবু তৈয়ব বাবলু। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদেশ দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন চন্দ্র রায়। তাকেও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ১৬ আসামীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এর আগে গত ২ ফেব্রæয়ারি আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরশুরাম থেকে সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে মুন্সিরহাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন মুলকত আহাম্মদ কালা মিয়া। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে জগতপুর রোডের টুক্কু মিয়ার পুলের পশ্চিম পাশে পানি থেকে মুলকতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই ফখরুল আহাম্মদ মজুমদার বাদী হয়ে ফুলগাজী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন ওসি সৈয়দুল মোস্তফা ২০১১ সালের ২৮ মে আদালতে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ২০১২ সালের ২৫ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই ফখরুল আহাম্মদ মজুমদার বাদী হয়ে ফুলগাজী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন ওসি সৈয়দুল মোস্তফা ২০১১ সালের ২৮ মে আদালতে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ২০১২ সালের ২৫ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।