১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট বাঙালি জাতি হারিয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সহ পরিবারের ২২ জন সদস্য কে। এ দিবসে কালো পতাকা উত্তোলন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা হয়। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে আজ ১৩/৮/২০ ইং তারিখ বুধবার, বেলা ৩ টায় ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ঢাকা-০৫ আসনের উপ-নির্বাচনে এম পি পদপ্রার্থী জননেতা হারুনর রশীদ মুন্নার সমর্থনে ৫০ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের আয়োজিত যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুল মাঠে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-০৫ আসনের মাটি ও মানুষের প্রাণ প্রিয় নেতা তৃনমুল নেতাকর্মী সমর্থিত এম পি পদপ্রার্থী বৃহত্তম ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামীলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা-০৫ নির্বাচনী এলাকার ১৪ দলের প্রধান সম্বনয়ক জননেতা হারুনর রশীদ মুন্না। সভায় সভাপতিত্বে ছিলেন, শেখ রফিকুল ইসলাম, সভাপতি ৫০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মোসলেউদ্দিন মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক ৫০ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ। সৌজন্যে, এইচ এমন সবুজ সরকার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৪৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ৪৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র, হাজী আবুল কালাম অনু, দনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, সভাপতি, আবু বক্কর সিদ্দিক বাকের। হারুনর রশিদ মুন্নার সহধর্মিনী কামরুন্নাহার হারুন, ৪৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন গেসু।

এসময় ঢাকা-০৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হারুনর রশিদ মুন্না কে নৌকার ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে ঢাকা-০৫ আসনের এমপি হওয়ার যোগ্য প্রার্থী হারুনর রশীদ মুন্নাকে পেয়ে ৫০ নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণ জনসভা জনস্রোতে পরিণত করে। প্রবল জনস্রোতে আসন্ন ঢাকা-০৫ আসনের উপনির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কন্যার নৌকার বৈঠা নিয়ে ডিজিটাল দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মনোনয়ন পাওয়ার মাঝি হয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন হারুনর রশীদ মুন্না।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মী এবং জনগণের একটাই চাওয়া এমপি গড়ার কারিগর দুঃখী ও দরিদ্র মানুষের বন্ধু হারুনর রশীদ মুন্নাকে এমপি হিসেবে চায় তারা।

অনুষ্ঠানটির মাধ্যমনি প্রধান অতিথি হারুনর রশীদ মুন্না বলেন, আগস্টের এই মাসে আমরা হারিয়েছিলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সহ তার পরিবারের ২২ জন সদস্যকে। স্বাধীনতা অপশক্তিরা সর্বসময় এই বাংলাকে নিস্তেজ করার পাঁয়তারা এখনো করে যাচ্ছে। আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যাকেও বহুবার হত্যার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং জেলের শিকলে কারাবন্দি করতে চেয়েছিল তবে আমি হারুনর রশিদ মুন্না ঢাকা-০৫ আসনের আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের তৃণমূল নেতা হয়ে দীর্ঘ সংগ্রাম ও ত্যাগ তিতিক্ষা করেছি দলের জন্য। ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর আওয়ামিলীগ ঘোষিত হরতালে যাএাবাড়ি চৌরাস্তায় পিকেটিং করা কালে বিএনপি ফ্রিডমপাটির ক্যাডাররা আমাকে হত্যা করার উদ্যেশে রক্তাক্ত করে। তখন মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দেখতে হাসপাতালে যায়। ১৯৯৪ সালে নয় মাস জেলে থাকতে হয়েছে আমার। সেই সাথে আমার বিরুদ্ধে ৬৪টি মামলা, ৪৯দিন রিমান্ড সহ ৯মাস জেল খেটেছি আমি। বিবাহের ৩মাস পর জেলে গেলে সন্তান জন্ম নিলে সদ্য নবজাত সন্তানকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার। তবে, ইনশাআল্লাহ দল থেকে মনোনীত হলে মরহুম সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করবো।

২০০৮ সালে নেত্রীর মুক্তি ত্বরান্বিত করতে আমি যাএাবাড়িতে ২,৯৮,৭৭০ টি গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে মহানগর কার্যালয়ে জমা দেই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য ঢাকা-৫ এর অর্ন্তগত সকল ইউনিয়নের সভাপতি-সাঃসম্পাদক ও ঢাকা সিটি কর্পোঃ ওয়ার্ড কমিশনার ও সভাপতি-সাঃসম্পাদক বৃন্দ মনোনয়ন বোর্ডকে রেজুলেশন করে অনুরোধ করেন। সে বিবেচনায় এবং আমার ৩০ বছরের রাজনৈতিক ত্যাগকে মূল্যায়ন করলে বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাকে ঢাকা-০৫ আসনের নৌকা প্রার্থীর যোগ্য দাবিদার মনে করে মনোনীত করবেন আমি শতভাগ আশাবাদী। আমি ঢাকা-০৫ আসন সংসদীয় এলাকার উপনির্বাচন নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করব। আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করতে পারি। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে আমি এই ৩০ বছরের রাজনীতিতে আমি কোন জায়গা থেকে ২ টি টাকা খেয়েছি তাহলে তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেব। প্রয়োজনে আমার মেসেঞ্জারে এভিডেন্স মেসেজ দিয়ে পাঠাবেন। আমার বড় ভাই মরহুম হাবিবুর রহমান মোল্লার পর আমি এই ঢাকা-০৫ আসনের সবচেয়ে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। নেত্রী আমাকে এই উপনির্বাচনে নৌকার টিকিট দিবেন এটা আমার বিশ্বাস।

তিনি আরো বলেন, আমার রাজনৈতিক অভিভাবক মরহুম এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মোল্লা এমপি যিনি আমাকে ধর্মের ভাই বলে ডেকেছিলেন তার শেষ জনসভার ভাষনকে মূল্যায়ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে জয়ী হব।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন , ৬০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা,গোলাম মোস্তফা হাসমত, জাকারিয়া রহমান রাশেল, মোঃ ইমতিয়াজ উদ্দিন, এম এইচ বকুল, ডাঃ শওকত আলী, তানভীর আলম, কাজী শরীফ উদ্দিন মানিক,আলমগীর ভূঁইয়া, নিশাত, ইফতেখার জাহিদ হাসান লাট, নজরুল ইসলাম, খানমনি, পলি, আজিজ, কাকলি, সেলিনা, হৃদয়, সুজন, সাইফুল ইসলাম, রাফসান সানী সহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ঢাকা-০৫ আসন সংসদীয় এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীবৃন্দ‌।