করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ঘরের বাইরে বের হননি জনপ্রিয় তারকা বিদ্যা সিনহা মিম। তবে এ সময় ভক্তদের বিনোদন দিতে ভোলেননি। ঘরে বসেই অভিনয় করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। লকডাউনেই ইউটিউব চ্যানেল খুলে ‘মিমস কাস্টডি’ নামের জনপ্রিয় একটি টক শো করেছেন। এছাড়া নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপচর্চাসহ নানা ধরনের ছোট ভিডিও আপলোড করে ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। এখন লকডাউন অনেকটাই শিথিল। ছোট পর্দার তারকাদের পাশাপাশি বড় পর্দার তারকারাও আস্তে আস্তে শ্যুটিংয়ে ফিরছেন। কিন্তু মিম বললেন অন্য কথা, ‘আমি ছোট পর্দায় কাজ করি না। তাই দুই ঈদে আমার তেমন কোনো নতুন কাজ ছিল না। এ জন্যই নিজের উদ্যোগে দর্শকের জন্য ঘরে বসেই নানা ধরনের কাজ করেছি। সবে বড় পর্দার শ্যুটিং শুরু হলো। কিন্তু আমি এখনই শ্যুটিংয়ে ফিরছি না। নভেম্বরে সিনেমার শ্যুটিং শুরু করব।’
কোন সিনেমা দিয়ে ফিরবেন জানতে চাইলে মিম বলেন, ‘হাতে থাকা সিনেমাগুলোর শ্যুটিং সিডিউল নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তাই আমি একেবারেই নতুন একটি সিনেমা দিয়ে কাজ শুরু করব। তবে এখনই এ সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। সবকিছু ফাইনাল হলে জানাতে পারব। শুধু এটুকু বলি, আমি ভালো গল্প ও ভালো বাজেটের সিনেমাই করব। অবশ্যই তাতে আমার অভিনয়ের জায়গা থাকতে হবে।’
সিনেমার কাজ না করলেও এ সপ্তাহে ওয়েবের জন্য একটি কাজ করেছেন মিম। ‘হ্যালো বেবি’ নামের ওয়েব ফিল্মটি নির্মাণ করেছেন ছোট পর্দার চাহিদাসম্পন্ন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। আর মিমের বিপরীতে আছেন আরেক জনপ্রিয় তারকা তাহসান খান। এই জুটির রসায়ন নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। তাদের একসঙ্গে করা অনেক কাজ দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মিম বলেন, ‘অমি তাহসানের কাজ আগেই দেখেছি। বেশ ভালো লাগত। তিনি যখন বললেন এটি একটি স্পেশাল ডে’র জন্য করতে চান, তখন রাজি হলাম। তাছাড়া তাহসান রয়েছেন সহশিল্পী হিসেবে, তার সঙ্গে কাজ করা মানে চাপমুক্ত থাকা। আমরা খুবই কমফোর্টেবল একে অন্যের সঙ্গে। তিনি দারুণ সহযোগিতা করেন সহশিল্পীকে। আমরা অনেকবার একটি দৃশ্য নিয়ে কথা বলে অভিনয় করি। তার ফলাফল স্ক্রিনে দেখে দর্শক খুশি হন।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাজটি একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে। গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শুরু হয়েছে। দু’টি কাপলের গল্প নিয়ে ‘হ্যালো বেবি’। হাস্যরসের মাধ্যমে কিছু সিরিয়াস টপিক তুলে ধরা হয়েছে। দর্শকদের বিনোদনের বিষয়টি মাথায় রেখে সেভাবেই আমরা গল্পটিকে উপস্থাপন করেছি। দর্শকের ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।’
করোনায় প্রয়েজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি শ্যুটিং টিম বেশ সতর্ক হয়েই শ্যুটিং করছেন বলে জানালেন নির্মাতা অমি। ‘হ্যালো বেবি’ টেলিভিশনে প্রচারের পর ক্লাব ইলেভেন এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলেও প্রচার হবে বলে জানান নির্মাতা।
এখন কী নিয়ে ব্যস্ত জানতে চাইলে মিম বলেন, ‘শ্যুটিং করি আর নাই করি, একজন তারকা হিসেবে নিজেকে সবসময় ফিট রাখতে চাই। নিয়মিত জিম করছি। এছাড়া নান ধরনের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছি। মাঝেমধ্যে দু-একটা শ্যুটিং পড়ছে। এই যেমন আজ ভিভো ফোনের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করব। অভিনেত্রী নোভা নির্মাণকারী এজেন্সির সঙ্গে জড়িত। পরিচালক নতুন, কিন্তু তার আগের কাজ দেখেছি। আমার বেশ ভালো লেগেছে। এছাড়া সামনে আরও কয়েকটি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ের জন্যই শুধু ঘরের বাইরে বের হব।’
মিমের নিজের ইউটিউব চ্যানেলের শো’টি দর্শক গ্রহণ করায় সেটি একটি টেলিভিশন চ্যানেল কিনে নিতে চেয়েছে বলে জানালেন মিম। কিন্তু তিনি এখনই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। মিম বলেন, ‘আমার মুডের ওপর নির্ভর করে ইউটিউবের জন্য কতখানি সময় দেব। কোন চ্যানেল যুক্ত হলে তখন কাজটি বাধ্যবাধকতার সঙ্গে করতে হবে। তাছাড়া আমি উপস্থাপক পরিচয় চাই না। আমার চ্যানেলে আমি উপস্থাপনা করিও না। একেবারে আড্ডার ছলে অনুষ্ঠানটা এগিয়ে যায়।’